জন্মের পর থেকে সন্তানের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কিছু চিন্তা ধারা!
সন্তানের জন্মের পর থেকে তার বেড়ে ওঠার পথটি একবারে সরল নয়। অভিভাবকের পেশা, প্রজননের ক্ষমতার ইতিহাস, অভিভাবকের ধূমপানের অভ্যাস, গর্ভকালীন মায়ের খাদ্যাভ্যাস,
শিশুটির খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের ধারা ইত্যাদির কারণে সন্তান নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু জন্মের পর সন্তানের নিরাপদে রাখতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাধারণ কিছু বিষয়ে বাবা মায়ের লক্ষ্য রাখা উচিৎ। তার ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে জেনে নেয়া যাক তেমন কিছু বিষয় সম্পর্কে।
খাদ্যাভ্যাস
শিশুদের ছোটবেলা থেকেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ তাজা ফল, শাক-সবজি খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ এসব খাবার শিশুর দেহকে গড়ে তুলবে জটিল সব রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী। ক্যানসারের মতো মরনব্যধিসহ অন্যান্য জটিল রোগও শিশুর কাছে ভিড়তে সাহস পাবে না।
শারীরিক পরিশ্রম
ছোটবেলা থেকেই সন্তানকে পরিমিত শারীরিক পরিশ্রমের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেয়। শিশুকে ছোটোখাটো কাজ করতে দেয়া এবং খেলাধুলার মাত্রা স্বাভাবিক রেখে শারীরিক পরিশ্রমের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
শিশুকাল থেকেই অনেক বেশি ওজন থাকা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণের অভ্যাস না থাকা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে অনেকাংশে। যেসব খাবার খেলে বেশি মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে সেসব খাবার কমিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম করিয়ে হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
ধূমপান ও মদ্যপান
বড়দের ধূমপান বা মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে বাড়ির শিশুটিও অভ্যস্ত হতে পারে। ছোট অবস্থাতে এসব অভ্যাস থাকলে আক্রান্ত হতে পারে ক্যানসারে। সুতরাং সাবধান।
কার্ভিক্যাল ক্যানসার ভ্যাকসিন
ছেলে শিশুর বয়স ১২ এবং মেয়ে শিশুর বয়স ১১ হলে কার্ভিক্যাল ক্যানসার ভ্যাকসিনটি দিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। পরবর্তীতে তাহলে আর কোনো ভয় থাকবে না।
হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন
হেপাটাইটিস বি থেকে লিভার ক্যানসার হয়, তাই ছোটোকালেই এই ভ্যাকসিনটি দিয়ে হেপাটাইটিস বি রোগ ও ক্যানসারের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করুন।