শিশুর ঘামাচি প্রতিরোধে করণীয়

প্রচন্ড গরমে বড়দের চেয়ে শিশুরা বেশি ঘামাচিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিভাবে শিশুর ঘামাচি প্রতিরোধ করবেন জেনে নিন–

১. আপনার শিশুকে খোলামেলা জায়গায় রাখুন, যেখানে প্রচুর আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে। শহুরে জীবনে এমনটা সম্ভব না হলে, অন্তত ফ্যান, এসি ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে হলেও বাতাস চলাচল এবং তাপমাত্রা নিজেদের সাধ্যমত নিয়ন্ত্রন করে রাখতে হবে যাতে শিশুর ঘাম কম হয়।

২. গরমে অতিরিক্ত ঘামাচির সবচেয়ে উপকারী বন্ধু পানি। গোসল বা শরীর পানি দিয়ে মোছার ফলে জমে থাকা ঘাম এবং মৃত কোষ সরে যায়, যার ফলে, রোমকূপগুলো পরিষ্কার থাকে, দ্রুত ঘামাচি সারে আর বাচ্চাও আরাম পায়।

৩. একটু বড় বাচ্চাদের দিনে একাধিকবার গোসল করাতে পারেন, তবে খেয়াল রাখবেন গোসলের পানি যেন একই ধরণের তাপমাত্রার হয়, শিশু যদি নরমাল পানিতে গোসল করে থাকে, তাহলে সেটাই দিবেন, আর যদি কেউ হাল্কা গরম পানি (বিশেষ করে বেশি ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রে ) ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে প্রতি গোসলে একই রকম দিবেন, আর অল্প সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলবেন, চুল লম্বা হলে বার বার চুল ভেজাবেন না, শুধু গা ধুয়ে মাথা তা একটু মুছিয়ে দেবেন।

৪. ঘাম মুছতে বা শরীর স্পঞ্জ করতে পাতলা সুতি কাপড় ব্যবহার করতে হবে। ঘামাচিতে ঘষা যেনো না লাগে খেয়াল রাখতে হবে। ঘষা খেলে কিংবা চুলকালে ইনফেকশান হয়ে যেতে পারে।

৫. বাচ্চার প্রচুর পানি এবং তরল খাবার নিশ্চিত করুন। ঘামাচি ছাড়াও সুস্থ ত্বকের জন্য প্রচুর তরল আবশ্যক। নবজাতককে ঘন ঘন মাতৃদুগ্ধ পান করাবেন , ছয় মাস পর্যন্ত এটিই পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এবং অন্যান্য শারিরিক সমস্যার একমাত্র সমাধান। ছয় মাসের বেশি বয়সি বাচ্চাদের বারবার তরল খাওয়াতে হবে।

৬. বাচ্চার ব্যবহৃত কাপড় প্রতিদিন ধুয়ে দিতে হবে। একদিনের ঘামে ভেজা কাপড় অন্যদিন পড়ানো যাবেনা।

৭. গরমে সুতির নরম কাপড় ব্যাবহার করতে হবে, আজকাল বেশিরভাগ সুতি কাপড় বলে পরিচিত কাপড় প্রকৃতপক্ষে পলিস্টার মিশানো সুতি হয়। যার ফলে সুতি কাপড়ের মত সহজে বাতাস ত্বকে পৌছুতে পারে না। শিশুকে ঘেমে যাওয়া মাত্রই কাপড় বদলে দিন।

৮. সকালের রোদ শরীরের জন্য ভালো বিশেষ করে নবজাতকের জন্য। কিন্তু শিশুদের কড়া রোদে নেয়া থেকে বিরত থাকুন। খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাচ্চাদের বাড়ীর বাইরে কিংবা যানজটপূর্ন রাস্তায় না নেয়াই ভালো।

৯. কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিক যথাসম্ভব বর্জন করুন– পাউডার, তেল, তৈলাক্ত ক্রিম বা লোশন প্রয়োগ করা যাবে না। ঘামাচি খুব বেড়ে গেলে, অস্বাভাবিক কিছু মনে হলে কিংবা ইনেফেকশান হয়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

টি/শা

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.