শিশুর অসুস্থতায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হোন
আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ক্রমাগত বাড়ছে। এর অনেক কারণ রয়েছে। ধরুন গত বছর শিশুর অসুস্থতার কারণে এন্টিবায়োটিক দিতে হয়েছিল। তাই এ বছর যদি শিশুর ওই একই ধরণের অসুখ হয় তবে নিজে থেকে ডাক্তারি করে আগের ঔষধ দেওয়া যাবেনা মোটেও।
তার কারণ, এই এক বছরে বাচ্চার ওজন বেড়েছে, কিছু শারীরিক পরিবর্তন হয়েছে, সেক্ষেত্রে তার ঔষধের ডোজের পরিবর্তন হয়েছে। ওই এন্টিবায়োটিক আগেরবার যেভাবে কাজ করেছিলো, এবার সেভাবে কাজ নাও করতে পারে। তাছাড়া বারবার এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে।
এরপর এই ঔষধ আর শরীরে কাজ করবেনা। ফলে কড়া ইনজেকশন বা ঔষধ দিতে হবে। আরেকটা কথা হলো, আমাদের পেটের ভিতরে যে উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যারা শরীরে নানাভাবে কাজ করে যেমন ভিটামিন তৈরি করা ইত্যাদি এবং অপকারী ব্যক্টেরিয়াগুলোকে দমিয়ে রাখে, এক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কুফলে এই ব্যাকটেরিয়াগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। আবার অনেক অভিভাবক এন্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ ডোজ শেষ করেন না। ফলে ওই ঔষধ আর কাজ করেনা। তাই শিশুর অসুস্থতায় উদ্ভ্রান্ত বা বিচলিত না হয়ে প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত শিশুর সঠিক চিকিৎসার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিটি ঔষধ নিয়ম অনুসারে খাওয়ানো।
টি/শা
CLTD: Womenscorner