আপনার শিশুর নৈতিক ও মানবিক গুনাবলীর অবক্ষয় হচ্ছে না তো??

কি শিখছে আমাদের বাচ্চারা? পত্রিকা খুললেই খুনের খবর, টেলিভিশনে ভেসে আসে গুম আর ধর্ষণের খবর, মোবাইলে অশালীন ছবি, কথাবার্তায় অশালীনতা! এসব থেকে কি শিখছে আমাদের বাচ্চারা! প্রতিনিয়ত এসব থেকে আপনার শিশুর নৈতিক ও মানবিক গুনাবলীর অবক্ষয় হচ্ছে না তো? আপনার শিশুর দিকে খেয়াল রাখুন। আসুন জেনে নেই, কিভাবে শিশুর নৈতিক ও মানবিক গুনাবলীর বিকাশ ঘটানো যায়।

১. শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষা দিন
আপনার শিশুর মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার বীজ বপন করতে হবে আপনাকেই। পরিবার থেকেই প্রথম শিশুকে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া শুরু করতে হবে। শিশুরা দেখে শিখতে বেশি পছন্দ করে, এজন্য সমাজের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি৷ সামাজিক পরিবেশ দেখে শিশুরা অনেক কিছু শেখে। একটা শিশু কিভাবে বেড়ে উঠবে তার অনেকটাই নির্ভর করে সমাজের ওপর। সমাজকে এক্ষেত্রে পালন করতে হবে গুরুদায়িত্ব।

২. নৈতিকতা বিকাশ হয় যথাযথ পরিচর্যায়
শিশুর নৈতিক ও মানবিক গুনাবলীর বিকাশ গড়ে উঠে সমাজ, পরিবার, পরিবেশ সবটার উপর ভিত্তি করে। শিশুর যথাযথ বিকাশ নির্ভর করে দেখাশোনা এবং পরিচর্যায় ওপর। শিশুকে শুধু জ্ঞানার্জন নয় বরং মানুষের মতো মানুষ হওয়ার শিক্ষা দিতে হবে। শিশুরা নৈতিক ও মানবিক গুনাবলীর শিক্ষা সবচেয়ে বেশি পায় পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে। তাই শিশুর পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ভালো রাখার দায়িত্ব নিতে আমাদের সবার।

৩. শুধু শিক্ষা নয় বরং প্রয়োজন সুশিক্ষার
আপনার শিশুকে শুধু শিক্ষিত নয় বরং সুশিক্ষিত করার চেষ্টা করুন। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ একমাত্র সুশিক্ষিত মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান থাকে। একজন শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি মূল্যবোধের শিক্ষাও দিতে হবে। শিশুর ভেতরের মূল্যবোধ জাগানোর চেষ্টা করতে হবে। শিশুর সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ এবং সৃজনশীল চিন্তার প্রসার ঘটাতে পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

৪. শিশুর জন্য সুস্থ – সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
শিশুর সুস্থ, স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সুস্থ, সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা শিশুর ওপর ভীষণ প্রভাব ফেলে। শিশুর পরিবেশ সুস্থ, স্বাভাবিক হলে শিশুর নৈতিক ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে এবং এতে শিশু সুন্দর আদব কায়দার সাথে বেড়ে ওঠার দিক নির্দেশনা পায়। যা শিশুকে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।

৫. শিশুর মনে দেশপ্রেম জাগাতে হবে
শিশুর মানবিক গুনাবলীর বিকাশ শুরু হয় পরিবার থেকেই। বর্তমানে যৌথ পরিবার নেই বললেই চলে, যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবার গড়ে উঠছে। তাই এক্ষেত্রে বাবা মাকেই শিশুর জন্য অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। শিশুর মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে, দেশপ্রেমী কখনো খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে না। এছাড়া ঘরে যেমন অভিভাবকের দায়িত্ব থাকে, তেমনি শিশুর শিক্ষার জায়গায় শিক্ষকের দায়িত্বও থেকে যায় অনেকটা।

কেএস/

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.