শিশুর পরিপূরক খাবারের ঘনত্ব

শিশু বড় হয়ে উঠার সাথে তার চাহিদা অনুযায়ী খাবারের শক্তি ঘনত্ব বাড়াতে হবে যাতে ১ গ্রাম খাবারে ১.৫ থেকে ২.০ ক্যালরি থাকে আর তা করা যায় খাবারে তেল/ঘি/চর্বি/মাখন এসব মিশিয়ে। কারণ, ১ গ্রাম তেলে ৯ ক্যালরি পাওয়া যায়।

– খাবারের ঘনত্ব ঠিক হলে শিশুর খাবারটি পুষ্টিকর হবে, শিশু খাবার চিবাতে পারবে, খাবারের স্বাদ বুঝতে শিখবে ও সহজে গিলতে পারবে।

– তরল খাবারের চেয়ে ঘন খাবারে বেশি পরিমাণে শক্তি, আমিষ ও অন্যান্য পুষ্টি থাকে যা শিশুকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।

– শিশুর খাবার যেনো বেশি তরল বা পাতলা না হয়। খাবার যত বেশি তরল বা পাতলা হবে, খাবারের পুষ্টিমান তত কম হবে। মনে রাখতে হবে শিশুর পেট খুব ছোট থাকে তাই শিশুকে পাতলা খাবার দিলে অল্পতেই তার পেট ভরে যাবে এবং পুষ্টি কম পাবে। পেট ভরা থাকলে শিশু খেতে চাইবে না।

– শিশুর খাবার তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে ভাতের পরিমাণ যেনো তুলনামূলক কম হয়, ঘন ডাল এবং দিনে একবার হলেও মাছ, মাংস ও ডিম এর যে কোনো একটি দিয়ে মেখে খাওয়াতে হবে। মাখানো খাবার এমন হবে যেন তা হাত দিয়ে তুললে সহজে পড়ে না যায়।

– শিশুরা ৮-৯ মাস বয়স থেকে নিজে নিজে হাত দিয়ে খাবার ধরে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এই কারণে এই বয়সে নাস্তা হিসাবে বিভিন্ন খাবার যেমনঃ মিষ্টি কুমড়া ভাজি, কলা ভাজি, মুরগির কলিজা, ডিম, ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ফল যেমনঃ পাকা আম, পেঁপে, কাঁঠাল, ছোট ছোট টুকরা করে দিলে সে নিজে নিজে হাত দিয়ে তুলে মুখে দিতে ও খেতে পারবে।

টি/শা

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.