নবজাতকের স্তন ও কিছু ভুল ধারণা!!

অনেক বাচ্চাই জন্মগতভাবে সামান্য বড় দানাদার স্তন নিয়েই জন্মায়; মায়ের শরীরে হরমোনের তারতম্যের কারনেই এটা হয়ে থাকে। এই ফোলার কোন চিকিৎসা লাগেনা, একটা নির্দিষ্ট সময় পরে এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।

কিন্তু একটি প্রচলিত ভুল ধারণা হচ্ছে, এই দানাদার স্তনে যেই দুধ থাকে তা ক্ষতিকর এবং তাই ফেলে দেওয়া উচিত। বিশেষ করে মেয়ে বাচ্চা হলে এই চিন্তাভাবনা আগে মাথায় আসে সবার।

দুর্ভাগ্যবশত মায়ের স্তনের মত বাচ্চার স্তনে কোন ছিদ্র থাকেনা, তাই দুধ বের হয়ে আসার কোন পথ নেই। দুধ বের করার জন্য, জোরপূর্বক স্তনকে চাপা হয়। এর ফলে, বাচ্চার নরম স্তনের চামড়া ছিঁড়ে যায়।

এর মধ্যে বেশিরভাগ মহিলাই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকে। তারা বাচ্চাকে ধরার পূর্বে সাবান অথবা জীবাণুনাশক লোশন দিয়ে হাত না ধুয়েই স্পর্শ করে। এজন্য বাচ্চার স্তনে ফোড়া সহ আরো অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে! ফোঁড়া হয়ে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

দুধ বের করার এমন ভুল প্রক্রিয়ার কারনে বাচ্চাদের স্তনে ফোঁড়া হয়ে থাকে। একবার ফোঁড়া হলে সহজে ভালো হয় না। অপারেশনের মাধ্যমে ফোঁড়া থেকে পুঁজ বের করার প্রয়োজন হয়। তাই বাচ্চাকে এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময়ের জন্য হাসপাতালে থাকতে হতে পারে।

দুর্ভাগ্যবশত এই অসৎ অভ্যাস গ্রামাঞ্চলে খুবই প্রচলিত এবং এর ফলাফলস্বরূপ অনেক বাচ্চাই মারাত্মকভাবে ভুগছে।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.