ভুলেও শিশুকে খাওয়াবেন না এসব খাবার হতে পারে কঠিন অসুখ!
শিশুর সুস্বাস্থ্যের কথা প্রত্যেক বাবা-মা ভাবেন। তার জন্য কোনটি ভাল আর কোনটি খারাপ তা সবচেয়ে ভালো বোঝেন শিশুর বাবা-মা। সে ক্ষেত্রে শিশুর মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়াটা তাদের দায়িত্ব।
তবে বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক অভিভাবকই শিশুকে বাইরের খাবার খেতে উৎসাহিত করেন। বিভিন্ন চিপস থেকে শুরু করে জাঙ্ক ফুড কোন কিছুতেই যেন মানা নেই। তবে এভাবে চলতে থাকলে শিশুর শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শিশুকে ভুলেও কোন খাবার সেগুলো দেবেন না, আর যেগুলো খেলে কী হতে পারে…
– সকালের নাস্তায় শিশুকে সিরিয়াল বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোন খাবার খাওয়াবেন না। কৃত্রিম রং মেশানো ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবারের বদলে সকালে শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান।
– অত্যাধিক ক্যাফেইন হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, উদ্বেগ ও অনিদ্রার কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন শিশুর জন্য অনেকটাই বিষাক্ত। এছাড়া এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করে ফলে হাড়ের বৃদ্ধি বাধা প্রাপ্ত হয়।
– কাঁচা শাক সবজি যেমন- ব্রকোলি, মটর, ফুলকপি, মটরশুটি, ঢ্যাড়স ইত্যাদিতে উচ্চমাত্রার নাইট্রেট থাকে, যা কাঁচা অবস্থায় খেলে শিশুদের দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। শিশুকে সবসময় সেদ্ধ ও রান্না করা খাবার খাওয়ান।
– আঙুর, কিশমিশ, বাদাম, শক্ত মোটর ইত্যাদি খাবার শিশুর শ্বাসনালীতে আটকে যেতে পারে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুকে এসব খাবার আস্ত খেতে দেবেন না। তবে এগুলো গুড়ো করে খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
– কিছু সাধারণ খাবারের কারণে শিশুর এলার্জি হতে পারে, যেমন- দুধ, চিংড়ি, ডিম, চিনা বাদাম, সয়াবিন, মাছ, বাদাম ইত্যাদি খাওয়ানোর আগে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
– অপাস্তুরিত খাবার বা পানীয় শিশুকে খাওয়াবেন না। কারণ এতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা মারাত্মক ডায়রিয়া ও গুরুতর সংক্রামক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
– একইভাবে হিমায়িত খাবারের প্রচুর পরিমাণে ট্রান্সফ্যাট থাকে, যা ধমনী আটকে দিতে পারে। এর থেকে ছোট বয়সেই শিশুর হৃদরোগের ঝুঁকি হতে পারে।
– শিশুরা ফ্রেঞ্চফ্রাই খেতেও ভীষণ পছন্দ করেন। তবে ভুলেও আর এই খাবার শিশুকে খাওয়াবেন না। এতে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট ও ক্যালোরি থাকে।
CLTD: womenscorner