শিশুর জন্য ৬ টি ভিন্ন খাবার!

শিশুর খাবারের তালিকায় আমার হরেক রকমের খাবার রাখি। কিন্তু কিছু খাবার আমরা তালিকায় রাখতে ভুলে যাই কিংবা ভুল কোনও কারণে খাবার টি বাচ্চাটিকে দিতে চাই না। আজকে জানিয়ে দিচ্ছি এমন কিছু খাবার যা খুবই পুষ্টি গুণ সম্পন্ন, খুব সহজে পাওয়া যায় এবং খেতেও মজা।

(১) কালো আঙ্গুর
কালো আঙ্গুর এর গাঢ় নীল রঙ এ আছে এন্থসায়ানীন ফ্লেভনইড যা শিশুর চোখের জন্য ভালো। ব্রেইন উন্নয়নে এবং মুত্র নালীর গঠনে ভুমিকা রাখে।
পরিবেশন ধারণা – ফালুদা করে দিতে পারেন। চার ভাগের ১ কাপ আঙ্গুরকে ১ টেবিল চামচ পানির সাথে মিশিয়ে ১টি বাটিতে নিয়ে ওভেনে ৩০ সেকেন্ড রেখে মিশিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। তারপর এর উপর একটু মিষ্টি দই ছড়িয়ে দিন।

(২) দই:
দই একটি মজাদার খাদ্য হতে পারে যখন আপনার বাচ্চাটি নতুন খাবার খেতে শিখবে। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ব্রেইন এবং হার্ট এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ১ টি চমৎকার উৎস যা শিশুর হাড় এবং দাঁত ঠিক রাখে। তাছাড়া তা খাদ্য নালীতে উপকারী অনুজীব সৃষ্টি করে যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
পরিবেশন ধারণা- দই নিজেই নিজের মত স্বাদ যুক্ত। কিন্তু ইচ্ছে করলেই তা বাচ্চার ফর্মুলা খাবারের সাথে মিশিয়ে খওয়ানো যায়। আবার কলা চটকে, দই মিশিয়ে বাচ্চাকে দেয়া যেতে পার

(৩) ডাল:
আমিষ এবং আঁশে পূর্ণ খাবার হল ডাল। এটি ১ টি ফুল প্যাক পুষ্টিকর খাবার এবং সেই সাথে দামে সস্তা খাবারের মধ্যে ডাল উত্তম।
পরিবেশন ধারণা- ডাল, চালের খিচুরি আমাদের দেশের জনপ্রিয় খাবার। তাছাড়া যে কোনও সবজির সাথে মিশিয়ে সেদ্ধ করে ডাল দেয়া যায়।

(৪) ব্রকলি:
ব্রকলি তে রয়েছে ফলেট, ক্যালসিয়াম এবং সালফার কম্পাউন্ড। ব্রকলিকে ক্যান্সার প্রতিরোধ খাদ্যও বলা হয়। এর একটি চমৎকার ফ্লেভার আছে যা বাচ্চার স্বাদে পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
পরিবেশন ধারণা- ছোট ব্রকলিকে ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করতে হবে যতক্ষণ না সেটি নরম হয়ে যায়। এটি হালকা করে দানা লাগে, তাই অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চারা সেটি পছন্দ সহকারে গ্রহণ করে।

(৫) আলুবোখারা:
এটিতে রয়েছে আঁশ যা কন্সটিপেশন সারাতে সাহায্য করে। এটি দিয়ে পানি শিশুকে শক্ত খাবারের সাথে পরিচয় করাতে পারেন।
পরিবেশন ধারণা- আলুবখারাকে মেশড করে নিন তারপর যে কোনও খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন। এতে ১ টা আচারের স্বাদ আসে যা শিশুরা পছন্দ করে। যদি বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তবে তাকে ২টি আলুবোখারার জুস খাবারের সাথে মিশিয়ে দিন।

(৬) মাংস:
এটি আমিষের পাশাপাশি জিঙ্ক এবং আয়রন এর ভালো উৎস। তাই মাংস বাচ্চাকে দেয়া উচিত।
পরিবেশন ধারণা- মাংসকে ভাপে সেদ্ধ করুন। ভাপে সেদ্ধ খাবার সহজে করা যায়, সহজে খাওয়া যায় এবং তাতে পুষ্টি উপাদানগুলো থেকে যায়। এর সাথে একটু আদা দিন এবং ইচ্ছে করলে সবজিও মেশাতে পারেন এটি শিশুর জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।

লিখেছেন- ফারিয়া ইসলাম
মডেল – আয়ান

CLTD: shajgoj

Sharing is caring!

Comments are closed.