বাচ্চার বিকাশে খেলনার ভূমিকা
আবেগ প্রকাশ: জন্মের পর ছোট্ট শিশুর মধ্যে হাসি কান্না ইত্যাদি আবেগগুলোর যথাযথ বিকাশ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, শুধু কান্না তাদের মনকে ডিপ্রেসড করে। তাই হাসি, অবাক হওয়া ইত্যাদি আবেগও তার মধ্যে ফুটিয়ে তোলা প্রয়োজন। খেলনা শিশুর এই পজিটিভ আবেগের বিকাশে সাহায্য করে।
মনোযোগ বৃদ্ধি:
খুদে সোনার মনোযোগ বৃদ্ধি করা বাবা-মায়ের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। নয়তো ভবিষ্যতে পড়ায় মন বসবে কী করে? বিশেষজ্ঞদের কথায়, খেলনা নিয়ে ছোট্ট সোনা সময় কাটালে মনোসংযোগের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তবে খেলনার পরিমাণ বেশি হলে চলবে না। একই সময় একটি খেলনা নিয়েই ওকে খেলতে দিন।
নিয়ম মানা:
জন্মের পর ছোট্ট সোনা নিয়ম-কানুন কী জিনিস তা শিখবে কীভাবে? এই প্রশ্ন অনেক বাবা-মায়ের মনেই আসে। মনোবিদদের কথায়, খেলনা নিয়ে খেলতে খেলতেই নিয়ম ব্যাপারটা সম্পর্কে ওর একটা ধারণা জন্মায়। কিছু খেলনা রয়েছে যা একটি নির্দিষ্ট নিয়মে না-খেললে সাড়া দেয় না, যেমন ব্যাটারিচালিত খেলনা। এই ধরনের খেলনাই নিয়ম সম্পর্কে ওর ধারণা গড়ে দেয়,
এমপ্যাথি তৈরি করা:
সমানুভূতি বা এমপ্যাথি একজন মানুষের প্রধানতম গুণ। সব বাবা-মা চান, তাঁদের সন্তানের মধ্যেও এই গুণটা তৈরি হোক। এতে সমাজে আর পাঁচজন মানুষের সঙ্গে মিশতে ওর সুবিধে হবে। এবং ধৈর্য ধরার মানসিকতা তৈরি হবে। শিশু বয়সে একমাত্র খেলনাই খুদের মধ্যে এই গুণটির বিকাশ করতে পারে। মেক-বিলিভ ধরনের খেলা ওর মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য গড়ে তোলে।
বাধা পেরিয়ে চলা:
সঠিক খেলনা নির্বাচন ছোট্ট সোনাকে শিশু বয়স থেকেই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে দেয়। বাধা পেরিয়ে কীভাবে এগিয়ে চলতে হয়, তার শিক্ষাও খুদের জীবনে প্রয়োজন। খেলনাই খুদেকে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে চলার প্রাথমিক ধাপগুলো শেখায়। যেমন প্রবলেম সলভিং গেম বাচ্চাকে সমস্যা সমাধান করতে শেখায়।
ক্রিয়েটিভিটি:
শিশুর মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি বিকাশের প্রাথমিক উপায় হিসেবে খেলনার গুরুত্ব যথেষ্ট। ছোট্ট বয়সে যখন সে আঁকা, কিছুই শিখে ওঠেনি, তখন ক্রিয়েটিভ খেলনাই পারে ওর মধ্যে ক্রিয়েটিভিটির বীজ বুনে দিতে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্লক অ্যারেঞ্জিং গেম অর্থাৎ ব্লক সাজানোর খেলা বাচ্চাদের ক্রিয়েটিভ ভাবনাকে জাগিয়ে তোলে।
cl:babydestination