কোন মাসে বাচ্চা জন্মালে কী কী সুবিধা-অসুবিধা হয়? জেনে নিন
১। গরমকাল
যদি আপনার সন্তান জন্মায় গরমকালে তাহলে আপনার বাচ্চার ওজন বাড়ে তাড়াতাড়ি। গরমে বাচ্চা একটু বেশি কষ্ট পায় ঠিকই, তবে এই সময় ঠাণ্ডা লাগার ভয় থাকে কম। রোগের সম্ভাবনাও থাকে কম। আর বাচ্চার ফ্যশনের জন্য এই সময় আদর্শ। সোয়েটারের চিন্তা নেই। মনের সুখে ফ্যাশনেবল পোশাকে বাচ্চাকে সাজান।
২। বর্ষাকাল
বর্ষাকালে আপনার সন্তান জন্মালে ভয় থাকে ঠাণ্ডা লাগার। বাচ্চার পেটের সমস্যাও হতে পারে। তাই বর্ষাকাল আপনার শিশু জন্মালে তাকে খুব সাবধানে রাখা উ়চিৎ।
৩। শরৎকাল
শরৎকালের আবহাওয়া বেশ মনোরম হওয়া সত্ত্বেও প্রাক-শীতের এই সময়ে বাচ্চা জন্মালে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।
৪। শীতকাল
যদি আপনার শিশু জন্মায় তাহলে গরমে কষ্ট পাওয়ার ভয় মোটেই থাকে না। তবে এই সময়ের শিশুরা উষ্ণতা ভালোবাসে। সব সময় কোলে থাকতে চায়। শীতকালে সন্তান হলে তাঁকে বেশি স্তনদুগ্ধ পান করানো উচিৎ মায়ের। এতে শিশুর শরীর গরম থাকে।
৫। বসন্তকাল
বসন্তকালে যদি আপনার ঘরে আসে নতুন অতিথি তাহলে সব দিক থেকেই তা ভালো। এই সময় পরিবেশ থাকে নাতিশীতোষ্ণ। তাই শিশুকে বেশি গরমে বা কনকনে ঠাণ্ডায় কষ্ট পেতে হয় না। আর শিশু এই সময় জন্মালে তাঁর স্কুলে অ্যাডমিশন পাওয়া সহজ হয়। তবে এই সময়েই রোগের প্রকোপ থাকে তুলনামূলক বেশি। তাই বাচ্চার যত্ন নিন।
শিশু লালন-পালন সহজ কাজ নয়। শিশুকে আদর করতে গিয়ে কখনও কখনও আমরা এমন কিছু করে থাকি যা শিশুর স্বাস্থের জন্য ঝুঁকিপূণ। অনেক শিশুকে আদর করতে গিয়ে ঠোঁটে চুমু খান বা শিশুর ঠোঁটের সঙ্গে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করেন, এটি শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। যা কখনওই ঠিক নয়।সদ্যজাত শিশুর ক্ষেত্রে, আপনার সমস্ত মনোযোগই তার স্বাস্থ্যের ওপরই থাকে। আপনার সন্তানের সঠিক দেখাশোনার জন্য আপনি নিদ্রাহীন রাত কাটাতেও প্রস্তুত থাকেন সবসময়। আপনি যখন শিশুকে এতোটাই ভালবাসেন, তাহলে মা-বাবা হিসাবে আরও একটি জিনিস আপনাকে জেনে রাখতে হবে। কখনোই আপনার শিশুকে ঠোঁটে চুমু দেবেন না বা অন্য কোনও অতিথিকেও করতে দেবেন না।