গর্ভবতী মহিলাদের কি কি ধরণের ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে ও কিভাবে সেগুলি মোকাবিলা করবেন?
- ১. তার থেকে বাঁচতে শরীরে বা মুখে যে জায়গায় দাগ হয়েছে সেখানে ত্রলোভেরা জেল লাগাতে পারেন, হলুদ গুড়োও লাগাতে পারেন৷
- ২. বগলের নীচে ও কালো দাগ দেখা দিতে পারে তাই সেখানে লেবুর রস ও হলুদ গুড়ো পারেন৷
- ৩. গর্ভবতী মহিলা দের পেটের মধ্যে প্রসারিত চিহ্ণ দেখা দিতে পারে; ত্রর থেকে বাঁচতে বাদাম তেল ও পেপেঁর রস ব্যবহার করতে পারেন৷
- ৪. এই সময় চোখের নীচে কালো দাগ হতে পারে; ত্রর থেকে বাঁচতে দুধ তুলা দিয়ে চোখের নীচে লাগালে চোখের নীচের কালো দাগ কমে যাবে৷
- ৫. গর্ভধারণ করার পর থেকেই সানস্ক্রিন লোশন বা জেল ব্যবহার করা উচিত এবং নীজের শরীর ও মুখ ভালো করে পরষ্কার রাখা দরকার৷
- ৬. গর্ভাবস্হাাায় মহিলাদের নারিকেল তেল ব্যবহার করা খুব উপকারী; স্নাানের জলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল দিয়ে স্নান করুন তাহলে শরীরে অনেক চমক আসবে৷ গর্ভধারণ করার পর গর্ভবতী মহিলারদের চুল পড়ার সমস্যা হয় তখন নারিকেল তেল ব্যবহার করুন চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
গর্ভবতী মহিলাদের একটু বেশী নিজেদের খেয়াল রাখা দরকার৷ তখন বেশী পরিমাণে জল খাওয়া দরকার, রৌদ্র থেকে দূরে দরকার৷ গর্ভধারণ করার পর শরীরের গঠন বদলে যায় ত্রবং শরীরে অনেক চুলকুনি হয়, এর থেকে বাঁচতে স্নানের সময় প্রথমে শরীরে জল না ঢেলে একটু দুধ, দই, মধু ও একটু ঘি এগুলো মিশিয়ে শরীরে লাগিয়ে একটি কাপড় দিয়ে নিজের শরীরকে ঘষতে থাকুন,তাহলে চুলকুনি থেকে বাঁচতে পারেন৷
গর্ভধারণ করার পর কিছু ফল খেলে ও শরীর,মন ও ত্বক ভালো থাকে, যেমন:- কমলা- কমলা তে ভিটামিন C থাকে যা ত্ক র জন্য খুব ভালো৷ প্রচুর পরিমাণে শাক-সব্জি ও খান, ডিম খান কারণ ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, ভিটামিন D , পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রণ ও প্রোটিন থাকে৷ কলা তে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন B6 থাকে যা গর্ভাবস্হায় হওয়া অলসতা কে দূর করে৷ দুধ এ ও প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে এসব খেলে গর্ভবতী মহিলাদের শরীর, মন, ত্বক সব কিছু ভালো থাকে৷ গর্ভধারণ করার পর ভালোভাবে ঘুমান এর ফলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে৷ সকাল বেলা উঠুন ব্যয়াম করুন যে ব্যয়াম গর্ভবতী অবস্হায় করা যায় সেটাই করুন৷ সব সময় খুশী থাকুন, নিজের আশেপাশে ভালো পরিবেশ তৈরী করুন যা করতে ভালো লাগে করুন, বই পড়ুন, নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন, মনে রাখবেন গর্ভাবস্হায় আপনি নিজের সাথে সাথে নিজের হবু বাচ্চার ও খেয়াল রাখছেন৷ গান শুনুন, ভালো জায়গায় ঘুরতে যান৷ কথা বলুন, গল্প করুন যাদের সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগে৷ নিয়মিত খাওয়া, দাওয়া করুন৷ রাতে সময় মত ঘুমোতে যান৷ কারণ এ সময় ভালো ঘুম হওয়া দরকারী৷ মনে রাখবেন মন ভালো থাকলে শরীর ও ত্বক দুটোই ভালো থাকে৷
Source:tinystep