চঞ্চল শিশুর খাবারদাবার
কিন্তু দেখা গেছে, এ ধরনের শিশুদের কিছু অভিন্ন সমস্যা থাকে। এদের কথা প্রায়ই অস্পষ্ট। এরা লবণ খেতে ভালোবাসে। যকৃৎ ও কিডনির সমস্যা থাকা বিচিত্র নয়। রক্তে অ্যামোনিয়া ও ল্যাকটিক অ্যাসিড পরীক্ষা করলে অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা হয়, এই অতি অমনোযোগ ও চঞ্চলতার পেছনে জৈব রাসায়নিক উপাদানগুলোর কোনো ভূমিকা থাকতে পারে।
তাই বিজ্ঞানীরা আজকাল বলছেন, এ ধরনের শিশুদের ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে ফল পাওয়া যায়। যেসব শিশুর রক্তে অ্যামোনিয়া বেশি, তারা ক্ষারধর্মী খাবার এড়িয়ে চলবে। আবার যাদের ল্যাকটিক অ্যাসিড বেশি, তারা দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার কম খেলেই ভালো। ক্ষারধর্মী খাবার হলো সব ধরনের ডাল, শাক, কিছু ফল (জাম্বুরা, আমড়া, লেবু, কমলা ও মাল্টা), শুঁটকি মাছ, চিংড়ি মাছ, বাদাম, অতিরিক্ত লবণ, সয়াসস, টমেটো সস, আচার, নারকেল ইত্যাদি। এ ছাড়া কোমল পানীয়, চকলেট এদের উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে। হাইপার অ্যাকটিভ শিশুদের পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। কড লিভার অয়েল এদের ক্ষেত্রে উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।
শিশুর আচার-আচরণ ও মনোজগতের ওপর খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব অনেক। এ নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। সুষম, স্বাস্থ্যকর ও সুশৃঙ্খল খাদ্যাভ্যাস দেহের মতো শিশুর মনের জন্যও যে দরকার, তা এখন প্রমাণিত সত্য।
Source: prothom alo