শিশুর হাঁপানি লক্ষণ ! কখন চিকিৎসকের কাছে নেবেন?
সে ক্ষেত্রে অনেক অভিভাবকই শিশুর হাঁপানি আছে কি না, সেটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন। প্রকৃতপক্ষে হাঁপানি রোগীদের প্রায় অর্ধেকের ক্ষেত্রেই ‘হুইজ’ থাকে না বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস হেলথ সায়েন্স সেন্টারের শিশু বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক টেড নিকার।
যেসব উপসর্গ নিয়ে আবির্ভূত হয় :
- কাশি হচ্ছে হাঁপানির সবচেয়ে পরিলক্ষিত উপসর্গ। এই কাশির প্রকোপ রাতেই বেশি দেখা দেয়।
- এ ছাড়া বুক চেপে ধরার অনুভূতির কথা বলতে পারে শিশু। সঙ্গে কিছুটা শ্বাসকষ্টও থাকে।
- খেলাধুলা করতে গেলে কিংবা চলাফেরা করতে যাওয়ার সময় শিশু পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ে।
হাঁপানি বেড়ে গেলে কী হয়?
- শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত বাতাস চলাচলের পথ সরু হয়ে যায়।
- ফুসফুসে বাতাস চলাচলের পথ এ সময় প্রদাহযুক্ত হয়ে ফুলে ওঠে।
- বাতাস চলাচলের কাজে ব্যবহৃত ফুসফুসের নালির মাংসপেশি সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং সেখানে আঠালো পদার্থের নিঃসরণ ঘটে। এটি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসকে ব্যাহত করে।
হাঁপানি সম্পর্কে প্রশিক্ষিত বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে খুব সহজেই শিশুর হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে হাঁপানি কখনো কখনো তীব্র আকার ধারণ করে শিশুর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে।
যেসব উপসর্গ দেখলে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নেবেন :
- শিশুর যদি তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুর ‘কলার বোন’ এবং পাঁজরের হাড় যদি ভেসে ওঠে।
- শ্বাসকষ্টের কারণে যদি শিশু কথা বলতে ব্যর্থ হয় বা কথা বলতে অসুবিধা হয়।
- শিশু যদি বসে উপুড় হয়ে শ্বাসকষ্ট উপশমের চেষ্টা করে।
- প্রতি শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় যদি বাঁশির মতো চিঁ চিঁ শব্দ হয়।
- শিশু যদি দাঁড়াতে গিয়ে শ্বাসকষ্টের কারণে বসে পড়ে আবার ভালোভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে।
- কোনো কিছু পান না করতে পারলে বা খেতে না চাইলে।
- ইনহেলার ব্যবহারের ১৫ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে।
যেহেতু হাঁপানির কারণে মৃত্যু হওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়, কাজেই হাঁপানির তীব্রতা বাড়লে শিশুকে দ্রুত হাঁপানির চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে এমন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।
source: ntv