প্রেগন্যান্সি ডায়েট: গর্ভাবস্থায় কী কী খাওয়া উচিত আর কী কী নয় সে সম্পর্কে জেনে নিন!
কী কী উপাদান এই সময় চাইই চাই: গর্ভাবস্থায় যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন খুব করে পরে, সেগুলি হল ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং প্রোটিন। তাই তো এই উপাদানগুলি রয়েছে এমন খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে ভাবি মায়েদের। কিন্তু প্রশ্ন হল, এইসব পুষ্টিকর উপাদানগুলির প্রয়োজন কেন পরে?
ফলিক অ্যাসিড: বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং শিরদাঁড়ার গঠন যাতে ভাল মতন হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে এই উপাদানটি। তাই তো ফলিক অ্যাসিড অথবা ভিটামিন বি রয়েছে এমন খাবার বেশি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, সবুজ শাক-সবজি, ডাল, বাদাম, বিনস, অ্যাভোকাডো, সাইট্রাস ফলে প্রচুর মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড থাকে।
ক্যালসিয়াম: বাচ্চার হাড় এবং দাঁতের গঠন তখনই ঠিক মতো হবে, যখন সে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাবে। তাই তো ভাবী মাকে বেশি বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- দুধ, দই, পনির, চিজ, সার্ডিন মাছ এবং সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে।
আয়রন: গর্ভাবস্থায় বাচ্চার শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্তের সরবরাহ হয়, তার জন্য মায়ের শরীরে বেশি করে রক্তের উৎপাদন হওয়া জরুরি। আর এই কারণেই আয়রণ সমৃদ্ধি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এই খনিজটি রক্তের উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, শরীর যাতে ঠিক মতো আয়রন শোষণ করতে পারে তার জন্য ভিটামিন- সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও জরুরি। এই ভিটামনটি আয়রনের শোষণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। প্রসঙ্গত, রেড মিট, সামদ্রিক মাছ, বিনস, পালং শাক প্রভৃতিতে আয়রণের পরিমাণ বেশি থাকে।
প্রোটিন: বাচ্চার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠন যাতে ঠিক মতো হয়, তার জন্য মাকে বেশি বেশি করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। তাই তো রোজের ডায়েটে রাখতে হবে মাংস, ডিম, মাছ, বাদাম এবং টোফুর মতো খাবার।
যে যে খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না: এই সময় বেশি মাত্রায় কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অ্যালকাহল এবং ফ্রায়েড মাংস খাওয়াও চলবে না। এমনটা না করলে কিন্তু মা এবং বাচ্চা, উভয়ের শারীরিক ক্ষতি হবে।
Source: boldsky