শিশুরা খুব সহজেই পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। শিশু পানিশূন্যতাতে আক্রান্ত কি না সেটা বোঝার উপায় কি? তাদের মধ্যে কি কি লক্ষণ দেখা দিতে পারে? কি ধরনের সতর্কতা প্রয়োজন?

শিশুরা খুব সহজেই পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। কারণ, তাদের শরীরের কোষের বাইরের তরলের পরিমাণ বেশি। তার ওপর চাহিদার কথা মুখ ফুটে ভালোভাবে প্রকাশও করতে পারে না। তাই এই গরমে শিশুদের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।

লক্ষণ: শিশুর অস্থিরতা; অকারণ কান্নাকাটি; একটু বড় শিশুদের খিটখিটে মেজাজ, পড়াশোনায় অমনোযোগ, বিরক্তি; শিশুদের প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস; জিব ও ত্বকের শুষ্কতা, চোখ ভেতর দিকে দেবে যাওয়া; পিপাসা ইত্যাদি। পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়ে অনেক সময় শিশুরা নিস্তেজ হয়ে পড়ে।

এতে তারা পানি পান করার শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে। সতর্কতা: প্রচণ্ড গরম ও প্রখর রোদে বাইরে খেলাধুলা বা ছোটাছুটি না করাই ভালো। শিশুকে বারবার পানি পান করান। বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় যথেষ্ট পানি সঙ্গে দিন এবং ফিরে আসার পর দেখুন পানি শেষ হলো কি না। হালকা রঙের পাতলা সুতি পোশাক পরান। জুস বা কোমল পানীয় নয়, সুস্থতার জন্য বিশুদ্ধ পানি পান করাই সবচেয়ে ভালো। ছয় মাসের কমবয়সী শিশুদের বারবার মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। আর স্তন্যদানকারী মাকে বারবার পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য পানি পান করাতে বোতল বা ফিডার নয়, বাটি-চামচ ব্যবহার করুন। একটু বড় শিশুদের হাতে গ্লাস ধরে পানি পান করতে শেখান। ডাবের পানি, লেবুর শরবত ইত্যাদিও মাঝেমধ্যে দেওয়া যায়। খুব ঠান্ডা বা বরফ-পানি নয়, শিশুদের জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার বিশুদ্ধ পানিই স্বাস্থ্যকর। সব সময় শিশুদের হাতের নাগালে পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি রাখুন। কোনো শিশুকে পানিশূন্যতার কারণে নিস্তেজ হতে দেখলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।

ডা. আবু সাঈদ শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

(বেশতো)

Sharing is caring!

Comments are closed.