টার্ম বেবি বা প্রি টার্ম বেবি এদের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা হতে পারে? ডা. নাসিম জাহান।আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
উত্তর : টার্ম বেবিদের সমস্যার মধ্যে শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসতে পারে। এরপর প্রসবের পর জীবাণুর সংক্রমণ নিয়ে আসতে পারে। অথবা কয়েকদিন পরেও চলে আসতে পারে। যেকোনো শিশুর শ্বাসকষ্ট হলেও আমাদের ভর্তি করা লাগবে। এ ছাড়া মায়ের যদি ডায়াবেটিস থাকে বা ক্রনিক কোনো রোগ থাকে, যেমন হার্টের রোগ থাকে, মায়ের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে অথবা মায়ের রক্তপাত হচ্ছে, সেই শিশুগুলোর উচ্চ ঝুঁকি থাকে। এদেরও দেখা যায় এনআইসিইউতে ভর্তি করা লাগে।
প্রশ্ন : নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার বিষয়টি কিসের ওপর নির্ভর করে?
উত্তর : এখন টেকনোলজির অগ্রগতির কারণে অনেক প্রি মেচিওর শিশু টিকে যায়। আগে যেমন ৩৭ সপ্তাহের নিচেই বলা হতো এবোরশন হয়ে যাচ্ছে। তবে এখন ২৪ সপ্তাহের শিশুরাও টিকে যাচ্ছে। আমি যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে কাজ করি সেখানে ২৪ সপ্তাহের শিশুরা আসে। অনেক মায়েরা অস্থির হয়ে যায় যে তাদের কখন ছাড়ব। আমি আগেই বলেছি ৩৪ সপ্তাহ হওয়ার আগে শিশুর চুষে খাওয়া বিষয়টি ভালোভাবে তৈরি হয় না। ২৪ সপ্তাহের শিশুগুলোকে আমাদের যে কোনোভাবে ওই পর্যন্ত রাখতেই হবে। এটা এ রকম বিষয় নয় যে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চিকিৎসা দিলাম, শিশুটি বাসায় চলে যাবে। তাহলে হবে না। তাহলে এতদিন যে কষ্টটা করলাম সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে যাবে। সে জন্য সময় পূর্ণ করে তাকে থাকতে হবে। কারণ বৃদ্ধির ব্যাপারগুলো, পরিপক্ব হওয়ার বিষয়গুলো তো আগে মায়ের পেটে হওয়ার কথা সেটা বাইরে পেতে হচ্ছে। সে জন্য যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি পাওয়া যাবে সেটি করতে হবে।
আবার যারা টার্ম বেবি তাদেরও সাত থেকে ১০ দিনের একটি সময় লাগবে। কিছুক্ষণ যে কাঁদেনি এ জন্য তার গাঁটে অক্সিজেন পায়নি। খাদ্যনালিতে এসিড জমে যায়। বাইরে যেমন এসিড লাগলে পুড়ে যায়, সেখানেও এ রকম একটি বিষয় ঘটে। তাদের খাবার দিতে একটু দেরি হয়।
অনেকে বলেন, বাচ্চাকে তো মায়ের দুধ দিচ্ছেন না তাহলে কীভাবে সে ভালো থাকবে। সেই মায়েদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, যদি শিশুদের খাবার দিয়ে তার ক্ষতি হয়, সেটা আমি করব না। যদি আমি খাবার দিই তার পেট তো ফুলে যাবে। তার পেটে পচন জাতীয় অসুস্থতা হতে পারে।