শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম
নবাগত শিশুর জন্য ভালো প্রাকৃতিক খাবার হলো মায়ের বুকের দুধ। শিশু জন্মের পর প্রথম ছয় মাস তাকে কেবল বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শই দেন চিকিৎসকরা। বুকের দুধ শিশুর পরিপূর্ণ পুষ্টির চাহিদার জোগান দেয়। তবে সঠিক নিয়মে বুকের দুধ খাওয়ানো অনেক জরুরি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম।
- জন্মের পরপর শিশুকে খুব দ্রুত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। কেননা জন্মের পর প্রথম আধা ঘণ্টা শিশুর বুকের দুধ টেনে নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। এ সময়ে বেটা ক্যারোটিন-সমৃদ্ধ যে শাল দুধ বের হয়, তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
- দুধ খাওয়ানোর সময় নিশ্চিত করুন শিশুর অঙ্গবিন্যাস এবং অবস্থা ঠিক আছে কি না। স্তন পান করানো একটি ব্যথাহীন অভিজ্ঞতা। যদি দুধ খাওয়ানোর সময় স্তনে কোনো ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুর মুখ মায়ের স্তনের বোঁটা বা কালো অংশের বেশির ভাগ জুড়ে থাকবে এবং ঠোঁট বাইরের দিকে থাকবে। শিশু যদি প্রথম দিকে দুধ না খেতে চায়, তাহলে প্রয়োজনে মা হাত দিয়ে চেপে সামান্য দুধ শিশুর ঠোঁটে দিতে পারেন। বোঁটার ছোঁয়া শিশুর মুখে লাগলে দুধ খুঁজতে হাঁ করবে। তবে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না, মুখ বেশ খানিকটা হাঁ হলেই খেতে দিতে হবে।
- বুকের দুধ শিশুর জন্য সঠিক খাবার। এতে শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত এবং পরিমিত পুষ্টি রয়েছে; রয়েছে রোগ প্রতিরোধক উপাদান। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরপর শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে ভালো হয়। এর ফলে শিশুর দুধ টানার অভ্যাস চালু হয়।
- দুধ খাওয়ানোর সময় বোঁটার ওপর খেয়াল রাখুন। শিশুর ত্বক নরম এবং নমনীয় আছে কি না, শিশুর শরীরের তাপ স্বাভাবিক আছে কিনা এগুলো ভালোভাবে খেয়াল করুন। এসব সঠিকভাবে দুধ খাওয়ানোর চিহ্ন।
- শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হলে মাকে স্তনের প্রতি ভালোভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রত্যেকবার দুধ খাওয়ানোর আগে স্তন ম্যাসাজ করে নেবেন। আলতো করে স্তনের কালো অংশের পেছনে ম্যাসেজ করবেন। খাওয়ানোর পরও ম্যাসেজ করুন।
- যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁদের প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১২ থেকে ১৫ শতাংশ প্রোটিন, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্বি খেতে হবে।