যেসব অবস্থায় সিজারিয়ান অপারেশন জরুরী

সিজারিয়ান ও স্বাভাবিক-এই দুই উপায়েই সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে আমরা সবাই কমবেশি অভ্যস্ত। কিন্তু মায়ের কঠিন এই সময়টিতে বাবা সহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বেশ দোটানা দেখা যায়। তাঁরা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না কোনটি করা উচিৎ এবং শুনতে খারাপ লাগলেও একথা সত্য যে অনেক চিকিৎসক এবং হাসপাতালও অসাধু উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মা’কে অযথা সিজারিয়ান করাতে বলে। এক্ষেত্রে মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেনে রাখা জরুরী যে কোন অবস্থাতে সিজারিয়ান অপারেশন খুব জরুরী। এমন কিছু অবস্থা সম্পর্কে জেনে নিন আজঃ

  • গর্ভস্থ শিশুর মাথার আয়তনের তুলনায় প্রসব পথ সরু হলে স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সিজারিয়ান করা ছাড়া কোনরকম উপায় থাকে না।
  • মায়ের প্রসবের রাস্তায় যদি কোন তিউমার থেকে থাকে তবে সিজারিয়ান করানোই শ্রেয় হবে।
  • শিশু যদি সঠিক অবস্থানে না থাকে এবং আল্ট্রাসাউন্ডে তা সম্পর্কে বোঝা যায় তবে ঝুঁকি না নিয়ে সিজারিয়ান করে ফেলা উচিৎ।
  • অতীতে জরায়ু বা প্রসবমুখে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে।
  • যদি মায়ের স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি না থেকে থাকে কিংবা অতিরিক্ত ব্যাথায় মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে সিজারিয়ান করে ফেলতে হবে অতি দ্রুত।
  • হঠাৎ আম্বিলিক্যাল কর্ড বা নাভি রজ্জু প্রসবপথে বেরিয়ে আসলে।
  • মায়ের ডায়বেটিস, হাইপারটেনশন ইত্যাদি সমস্যা থাকলে আগে থেকেই সিজারিয়ানের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিৎ। এমন রোগীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ডেলিভারি বিপদজনক, তাই চিকিৎসকেরা ঝুঁকি নিতে চান না।
  • প্রসবের আগে কোন কারনে মায়ের রক্তক্ষরণ হতে থাকলে।
  • ৬-১২ ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম না হলে।
  • একলাম্পসিয়া বা প্রি-একলাম্পসিয়া দেখা দিলে।

এসব অবস্থায় দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিজারিয়ান করে নিতে হবে।

cl-Hatihatipapa

Sharing is caring!

Comments are closed.