ছোট্ট সোনামণিদের ঠাণ্ডার সমস্যা, করনীয় কি?

আপনার আদরের সোনামণি যেন সবসময় সুস্থ থাকে সেদিকে নিশ্চয়ই আপনার খেয়াল আছে। এই ভালোবাসা আর সতর্কতা সত্ত্বেও অনেক সময় নানা রোগে শিশুর অসুস্থতা আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে তোলে। এর থেকে বাঁচতে দরকার সতর্কতা আর তড়িৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

অনেকেই মনে করে থাকেন শিশুদের শীতকালেই ঠাণ্ডা লাগে। অন্য সময় ঠাণ্ডা নিয়ে এত না ভাবলেও চলবে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। অনেক সময় গরম আবহাওয়াতে ঘাম বা পানি গা এ বসেও ঠাণ্ডা লাগতে পারে। ঠাণ্ডাজনিত কারণে প্রধানত শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে সংক্রমন দেখা যায়। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মূলত জ্বর, সর্দি বা কাশি হয়ে থাকে, তবে এটা মারাত্মক পর্যায়ে গিয়ে নিউমোনিয়াতেও রূপ নিতে পারে। যা শিশুর জন্য প্রাণঘাতীও হতে পারে। তাই এই বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। আসুন জেনে নেই শিশুদের ঠান্ডা লাগার লক্ষণ আর আমাদের করনীয়।

ছোট্টমণির ঠাণ্ডা লাগার লক্ষণসমূহঃ শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এবং শ্বাস দ্রুত নেয়।বুকের দুধ খেতে কষ্ট হয়, এমনকি পানি বা অন্য তরল খাবার ও ঠিক মত খেতে পারে না।শিশু যখন শ্বাস নেয় তখন তার বুকের মাঝের অংশ শ্বাস নেবার সাথে সাথে দেবে যায়।
খাবার ঠিক মত খেতে পারে না বা খেলেও পেটে রাখতে পারে না, বমি করে খাবার উগড়ে দেয় বার বার।শিশুর প্রাণোচ্ছলতা কমে যায় অনেক। কান্নাকাটি করে। এক পর্যায়ে শিশু নেতিয়ে পড়ে।বেশি ঠাণ্ডা লাগলে তা যদি নিউমোনিয়ার দিকে যায় তবে শিশুর খিঁচুনি দেখা দিতে পারে।অবস্থা বেশি খারাপ হলে শিশু অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে।

এই পর্যায়ে করনীয়ঃ যেকোন ঋতুতেই হোক শিশুর যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘামের কারণে হোক বা বৃষ্টির পানিতে ভিজে হোক, শিশুর গায়ের পোষাক এবং শিশুর গা ভেজা থাকতে দেয়া যাবেনা। ভিজলেই সাথে সাথে মুছে ফেলতে হবে। শিশুকে তার বয়সের উপর নির্ভর করে বেশি বেশি তরল খাবার ও বুকের দুধ দিতে হবে। শিশুকে কোন অবস্থাতেই ভিজা বা স্যাতস্যাতে পরিবেশে রাখা যাবে না। তাকে শুষ্ক এবং অনেক বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখতে হবে। কোন রকম ঠাণ্ডা লাগার লক্ষন দেখা দিলেই দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Sharing is caring!

Comments are closed.