আসুন জেনে নেই “মর্নিং সিকনেস” কাকে বলে?

গর্ভধারনের শুরুর দিকে গর্ভবতী মায়েদের খুবই সাধারন একটি সমস্যার নাম “মর্নিং সিকনেস”। সাধারনত কম বেশি প্রায় এক মাস সব মায়েরাই এই সমস্যা এর মধ্যে দিয়ে যান। আর এই “মর্নিং সিকনেস” শুরু হয়ে থাকে বাচ্চা গর্ভে আসার এর এক সপ্তাহের মধ্যেই। “মর্নিং সিকনেস” নামক এই যন্ত্রনার নামের সাথে মর্নিং থাকলেও শুধু সকালবেলাতেই কিন্তু এটি সীমাবদ্ধ নয়। এই “মর্নিং সিকনেস”, সোজা বাংলায় যা কিনা “বমি বমি ভাব” অধিকাংশ সময়ই সারাদিনই কষ্ট দেয় গর্ভবতী মায়েদের। বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে “estrogen ” নামক হরমোনের উঠা-নামার কারনে এমনটি হয়ে থাকে।

কিছু কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট জিনিসের গন্ধে এই “মর্নিং সিকনেস” বা “বমি বমি ভাব” হয়ে থাকে, যদিও কারও কারও ক্ষেত্রে কোন কিছু ছাড়াই “বমি বমি ভাব” হয়ে থাকে।

এই “মর্নিং সিকনেস” বা “বমি বমি ভাব” এখন পর্যন্ত মেয়েদের গর্ভবতী সনাক্তকরনের সব থেকে সহজ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষনায় দেখা গেছে, নিয়মিত “crackers ” আর “dry toast ” খাওয়া এই সময়ে মায়েদের “বমি বমি ভাব” থেকে কিছুটা হলেও উমশম করতে পারে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়েরা যখন তাদের গর্ভবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসের যাত্রা শুরু করে তখন থেকে এই “মর্নিং সিকনেস” বা “বমি বমি ভাব” সম্পূর্নভাবে থেমে যায়। উল্লেখ্য, এই দ্বিতীয় ত্রৈমাস সময়টাতে মায়েদের শরীরের পরিবর্তনগুলো অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে চলতে থাকে

Sharing is caring!

Comments are closed.