যে খাবারগুলো আপনার গর্ভধারণে অক্ষমতা দূর করবে
![](https://babyhealth24.com/wp-content/uploads/2017/09/jk.jpg)
একটা সময় বন্ধ্যাত্ব সমাধান অযোগ্য সমস্যা বলে পরিচিত থাকলেও যুগের আধুনিকতায় এখন এই সমস্যার সমাধান হয়েছে অনেকখানি। সঠিক সময়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তবে আনন্দের বিষয় এই যে কিছু কিছু সমাধান আপনার নিজের হাতেই থাকে। বংশগত বা বয়সগত সমস্যা ছাড়া বাকি ফ্যাক্টরগুলো আপনি নিজেই কিছু খাবার খেয়ে এবং কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।অবাক হচ্ছেন? দেখে নিন এমন অবাক করা কিছু খাবারের তালিকা।
- গুড কার্বোহাইড্রেট বা ভালো শর্করাঃ ভালো শর্করা বলতে বুঝানো হচ্ছে যাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে এবং যা অন্যান্য শর্করার তুলনায় দেরিতে হজম হয়। যেমন- ফল, সবজি, শস্য, বীন ইত্যাদি। এইসব খাবার ব্রেড, কুকিজ বা ভাতের তুলনায় দেরিতে ডাইজেস্ট হয়। ফলে আপনার রক্তের সুগারের লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, হটাৎ করে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বেশি বাড়তে দেয় না। রক্তে গ্লুকোজ বাড়লে ইনসুলিনের পরিমাণও বাড়ে আর কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ইনসুলিন ওভ্যাল্যুশন বা সন্তান ধারণের প্রক্রিয়ায় বাধা দান করে।
- আনস্যাচ্যুরেটেড ফ্যাটঃ সকল প্রকার ট্রান্স ফ্যাট বর্জন করে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ করুন। ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায় কমার্শিয়ালি বেকড খাবারে, ফেঞ্চ ফ্রাই, আনিম্যাল প্রোডাক্টে এবং কিছু মার্জারীনে। এইসব ফ্যাট আমাদের শরীরের কোষসমূহকে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট করে তোলে। আর এই রেজিস্ট্যান্স মোকাবেলায় শরীর আর বেশি ইনসুলিন নিঃসরণ করে যা মেটাবলিক ডিস্টারবেন্স ঘটায়। ফলে ওভাল্যুশনে সমস্যা হয়।
- প্রোটিনঃ প্রোটিনের গুরুত্ব আমাদের দেহে অনেক বেশি। তাই আমাদের বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। এই প্রোটিন আমরা দুই ভাবে পেতে পারি।
খাদ্যশস্য বা উদ্ভিদ থেকে এবং রেড মিট বা প্রানিজ মাংস থেকে। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে রেড মিট থেকে নয় বরং উদ্ভিজ উৎস থেকে প্রোটিন গ্রহণ করা। উদ্ভিজ প্রোটিন এর উদাহরণ হল বীন, শস্য, বাদাম ও টফু। কারণ এতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর লো ক্যালোরি। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। খাবারের ব্যাপারগুলো মেনে চলুন এবং দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। বিএমআই অনুযায়ী আপনার উচ্চতার তুলনায় আপনার ওজন কত হওয়া উচিত জেনে নিন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। এবং সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই দৈনিক ৩০-৬০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন। - মাল্টিভিটামিনঃ মহিলাদের জন্য ফলিক এসিডের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণামতে যেসকল মহিলারা প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড সম্বলিত মাল্টিভিটামিন খেয়ে থাকেন তাদের গর্ভধারণজনিত সমস্যা ৪০% কমে যায়!
- দুধঃ দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। দুধ একটি সুষম খাদ্য যাতে খাবারের সকল পুষ্টি বিদ্যমান থাকে। খেয়াল রাখুন, আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এক গ্লাস দুধ যেন অবসশই থাকে।