বাড়িতে বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখবেন যেভাবে

বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস ক্রাইসিসের কারণে বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ ঘোষণা করার কারণে বাচ্চারা আজ ঘরবন্দী। এই সময়ে বাচ্চাদের ঘরে রাখা এবং গঠনমূলক কাজ করানো ও ক্রিয়েটিভ কিছু শেখানো বাবা – মায়েদের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়িতে বাচ্চাদের ব্যস্ত রাখা নিয়ে আজ আলোচনা করবো। চলুন তবে দেখে নেই এমন কিছু যা তাদের ভবিষ্যৎ এ কাজে লাগবে!

১. ক্রাফটিং বা কারুশিল্প: ক্রাফটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যাতে আপনার বাচ্চা সৃজনশীল কিছু শিখতে পারবে এবং এর মাধ্যমে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবে। রঙিন পেপার, সুতা বা কাপড়, রঙ ইত্যাদি দিয়ে বিভিন্ন ক্রাফট এর কাজ করা যায়। আপনি যেগুলো নিজে বানাতে পারেন সেগুলো আপনার বাচ্চাকে আগে শেখাতে পারেন তারপর অনলাইনে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল পাওয়া যায় সেগুলোর হেল্প নিতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় ক্রাফট হতে পারে নৌকা, প্লেন, কাগজের বিভিন্ন ধরনের ফুল, সুতার বল ইত্যাদি। এমনকি বাচ্চারা বন্ধুদের পাঠানোর জন্য বিভিন্ন গ্রেটিং কার্ডস ও বানাতে পারে।

২. বাচ্চাদের প্র্যাকটিক্যাল মনোভাব গড়ে তুলুন: বাচ্চাদের গঠনমূলকভাবে গড়ে তোলার জন্য এই অবসর সময়টি একটি দারুণ উপযুক্ত সময়। আপনি এই সময়টিকে কাজে লাগিয়ে তাদের অনেক মুল্যবান জিনিস শেখাতে পারেন। তাদেরকে আপনার বাড়ির কাজগুলোতে সাহায্য করার কথা বলতে পারেন। ঘরের টুকিটাকি জিনিস গোছানোর ব্যপারে আপনাকে সাহায্য করতে বলতে পারেন। আপনি কখন কী করবেন না, আর করবেন তার একটি লিস্টও তাদের দিয়ে তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। এতে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং তারা তাদের নিজেদেরকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে মনে করবে।

৩. মাইন্ডফুল ইনডোর গেমস: বাচ্চাদের বিভিন্ন ইনডোর গেইম এ ব্যস্ত রাখতে পারেন আর খেলাগুলো যদি শিক্ষণীয় হয় তাহলে তো আরো ভালো। ছোট বাচ্চাদের জন্যঃ

– বিভিন্ন অক্ষর দিয়ে শব্দ এবং শব্দ দিয়ে বাক্য বানানো

– বিভিন্ন দেশ, ফুল, ফল, পশু,পাখি ইত্যাদির নাম বলতে বা লিখতে বলা

– চোখ বেঁধে কোন জিনিসের আকার বা আকৃতি সম্পর্কে বলতে বলা

– বাড়ির যে কোন জিনিস সম্পর্কে তার অনুভূতি জানতে চাওয়া

– নতুন নতুন টপিক দিয়ে ঐ সম্পর্কে তাকে কোন গল্প লিখতে বা বলতে বলা ইত্যাদি বিভিন্ন মননশীল খেলার আওতাভুক্ত

এছাড়াও স্কুল গোয়িং বাচ্চাদের জন্য এনাটমি, ওয়ার্ল্ড গভার্মেন্ট, বিদেশি ভাষা, ইতিহাস ইত্যাদি সম্পর্কীয় খেলা তাদের সাথে খেলতে পারেন, খেলার পাশাপাশি অনেক কিছু শেখাও হয়ে যাবে এই ফাঁকে।

৪. রান্না শেখা: রান্নার সময় আপনার বাচ্চাকে রান্নার বিভিন্ন টুকিটাকি কাজে আপনাকে সহায়তা করতে উৎসাহিত করুন। বিভিন্ন রান্নার সময় তাদের কুকিং ও বেকিং দুটোতেই ব্যস্ত রাখতে পারেন। তাদের রান্নার অনেক স্কিল শেখানোর পাশাপাশি কোন রান্নায় কতটুকু ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহৃত হচ্ছে এবং পরিমানে কতটুকু লাগছে সেগুলো তাকে পরিমাপ করে দিতে বলুন। বেকিং টাইপের রান্নায় তাদের উপাদানগুলো মিক্স করে দিতে বলুন। এইসব বিভিন্ন রান্নার কাজে মনোনিবেশ করলে বাচ্চাদের মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে এবং বিভিন্ন স্ট্রেসফুল চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকবে।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.