আপনার শিশুর ত্বক উজ্জল ও ফর্সা করার ১০ টি ঘরোয়া টিপস

সুন্দর ত্বক কে না চায়! আমরা বড়রা নিজেরা চেষ্টা করি তো বটেই, সেইসঙ্গে চেষ্টা করি ছোট শিশুদের ত্বকেরও পরিচর্যা করতে শৈশব থেকেই যাতে বড় হয়ে তারা ভালো ত্বকের অধিকারী হয়। তবে ত্বকের পরিচর্যা করা আর ফর্সা গাত্রবর্ণের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা করা ঠিক এক ব্যাপার নয়।

ত্বকের রঙের ব্যাপারটি অনেকটাই বংশগত যদিও আজকাল অনেক আধুনিক উপায়ে বেরিয়েছে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করার। এই অবসরে আমরা আলোচনা করব কি কি উপায়ে শিশুর ত্বকের যত্ন নিয়ে তাঁর গাত্রবর্ণ কে আরও উজ্জ্বল করা যায়।

১. গরম তেল মালিশ: বাচ্চাদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার একটি ভীষণ কার্যকর উপায় হচ্ছে গরম তেল মালিশ করা। বংশানুক্রমে চলে আসায এই ত্বক পরিচর্যার পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুর চামড়া আরো মসৃণ এবং উজ্জ্বল হয়। আপনার শিশুকে আপনি রোজ নিয়ম করে গরম তেল মালিশ করুন। ‌ ফল পাবেন হাতেনাতে।

২. ঘরোয়া বডি প্যাক: শিশুদের ত্বক বড়দের ত্বকের দশগুণ বেশি সংবেদনশীল। সুতরাং তাদের ত্বকের যত্ন নিতে আপনাকেও সংবেদনশীল হতে হবে। শিশুর ত্বকের যত্ন নিতে সপ্তাহে একবার বডি প্যাক ব্যবহার করতে হবে। তাই বাইরের জিনিস না কিনে বাড়িতে হলুদ, দুধ এবং চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে তা শিশুর ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

৩. বেবি স্ক্রাব: শিশুর সংবেদনশীল চামড়ার কথা মাথায় রেখে ঘরে বেসন, দুধ, হলুদ এবং গোলাপজল দিয়ে বানান একটি বিশেষ স্ক্রাব। বাচ্চার নরম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই জিনিসটির জুড়ি মেলা ভার।

৪. ময়েশ্চার: শিশুর ত্বক যাতে শুষ্ক না হয়ে পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাচ্চাদের জন্য তৈরি ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করুন। বাজারে এমন ক্রিম প্রচুর পাওয়া যায় তবে শিশুর জন্য সেরাটাই নেবেন বলে আশা করা যায়। সঠিকটি বাঁচতে না পারলে চর্ম বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার শিশুর ত্বক পরিচর্যার এটা অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।

৫. বেবি সোপ গুলিকে মারুন: প্রস্তুতকারকরা যতই যাই করুক, ভুলেও বেবি সোপ দিয়ে আপনার শিশুর ত্বকের পরিচর্যা নিতে যাবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সাবানের যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে, তাই এখন সর্বজনবিদিত আর তাই তা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৬. দুধের সর আর বাদাম তেল: এ দুটি উপাদান ব্যবহার করতে পারেন শিশুর ত্বকের পরিচর্যার জন্য। দুধের সর শিশুদের চর্ম রোগ নিরাময়ের ব্যাপারেও খুব উপকারী।

৭. ফলের রস: আঙ্গুর, আপেল বা কমলালেবুর মতো বিভিন্ন ফলের রস খাওয়ালে ও শিশুদের খোলতাই হয়। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন যে ফলের রস তিন মাসের কম বয়সী শিশুদের খাওয়ানো বিপদজনক কারণ তারা তখন মায়ের দুধ বা ফর্মুলা মিল্কেরউপরে নির্ভরশীল থাকে।

৮. গোসল করানোর সময় খেয়াল রাখুন: শিশুকে গোসল করানোর সময় খেয়াল রাখুন পানির তাপমাত্রা যেন খুব বেশি বা কম না থাকে, তাতে আপনার শিশুর সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এবং তার ঔজ্জ্বল্যও হারিয়ে যেতে পারে। সব সময় শিশুকে নাতিশীতোষ্ণ পানিতে গোসল করান।

৯. রোদে গোসল: শিশুকে অবশ্যই রোদে নিয়ে যান গোসলের আগে। রোদে ভিটামিন ডি থাকে যা সুস্থ ত্বকের জন্য খুব জরুরী।

১০. শিশুর গা মোছানোর দিকে নজর দিন: গোসলের পর শিশুর গা মোছানোর দিকেও নজর রাখুন। নরম তোয়ালে ব্যবহার করুন যাতে অত্যাধিক ঘষাঘষিতে তার গায়ে ফুসকুড়ি না বেরোয়। বাচ্চাদের ত্বকের পরিচর্যায় এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, মাথায় রাখবেন। তাহলে আর বিশেষ ভাববেন না। উপরের পরামর্শগুলো মেনে চলুন যাতে খুব শিগগিরই আপনার শিশু সন্তানের ঝলমলে ত্বক দেখে গর্বিত বোধ করতে পারেন।

CLTD: Womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.