শীতে আপনার শিশুকে সুরক্ষিত রাখার ৫ উপায় জানুন
সাধারণত শীতকালে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে থাকে। ঠান্ডা-কাশি, জ্বর, এলার্জি এগুলো খুব সাধারণ ব্যাপার এসময়। শীতের সময় ভেবে আমরাও শিশুদের পানি ধরতে দেই না, বাইরে খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দেই, এমনকি খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও বেঁধে দেই অনেক নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু আসলেই কি শিশুদের সুস্থ থাকার জন্য এত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন আছে? নাকি শীতকালেও সাধারণ কিছু নিয়ম মেনেই শিশুকে সুস্থ রাখা যায়? জানুন বিস্তারিত…
১। ঠান্ডা লাগার ভয়ে শীতে আমরা শিশুদের পানি ধরতে দেই না। শুধু গোসলের সময় গরম পানি করে অল্প সময়েই গোসল করায়। ভাবি, যেহেতু শরীর বা হাত ঘামছে না তাই শীতে এত পানি ধরার দরকার নেই। কিন্তু জানেন কি, শিশুকে সুস্থ রাখতে হলে তাকে অবশ্যই অন্যান্য সময়ের মতো নিয়মিত হাত ধোয়াতে হবে। কারণ, শীতকালে অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাতাসে ধুলিকণা বেশি থাকে। নিয়মিত হাত না ধোয়ালে সেগুলো বাচ্চার শরীরে প্রবেশের সম্ভাবনা বেশি। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানির বদলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
২। শীতে শরীর ঘামে না বলে শিশুদের উলের সোয়েটার ধোওয়ার কথা আমাদের ভাবনাতেই আসে না। কিন্তু এ ধরণের সোয়েটারে খুব দ্রুত ধুলোবালি আটকে যায়। এতে শিশুদের ডাস্ট এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত শিশুর সব সোয়েটার ও কাপড় ধুয়ে দিতে হবে।
৩। শীতে শিশুদের গোসল করান না বেশিরভাগ মায়েরাই। কিন্তু গোসল না করলে শরীর আর চুলে ধুলো বা জীবাণু লেগে থাকবে যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। কুসুম গরম পানি দিয়ে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।
৪। শীতের সময় শিশুদের বাসি বা ঠান্ডা খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। ফ্রিজে থাকা যে কোনো খাবার বাচ্চাকে খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ভালো করে খাবার গরম করে নিতে হবে। সম্ভব হলে দিনে অন্তত একবার স্যুপ, কুসুম গরম পানি, গরম দুধ খাওয়াতে হবে। সঙ্গে ভিটামিন সি যুক্ত ফল যেমনঃ কমলা, মাল্টা ইত্যাদি খাওয়াতে হবে।
৫। বাইরের ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকবে বলে প্রায় সব বাড়িতেই এসময় জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি। কারণ, বদ্ধ রুমে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না বলে ঘরে জীবাণুর সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ঘন্টা খানিকের জন্য হলেও জানালা-দরজা খুলে রাখুন।
CLTD: Womenscorner