আপনার সন্তান কী মাঝেমধ্যেই রাতে জেগে ওঠে? সমাধান

সারাদিনের খাটাখাটনির পর রাতে শুয়েছেন, সবে চোখের পাতা বন্ধ হয়েছে, এমন সময় তীব্র কান্নার আওয়াজ এর ধর মর করে উঠে বসলেন। আপনার ছোট্ট শিশুর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। অতএব এখন তাকে কোলে করে বসে থাকা, তার সঙ্গে খেলা করা এবং আবার ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করতে করতেই সকাল হয়ে যায়।

সবে যারা বাবা মা হয়েছেন, এই অভিজ্ঞতা তাঁদের প্রায় রোজই হয়ে থাকে। এখন কথা হল আপনার সন্তান দিনের বেলা তার ইচ্ছে মত যে কোন সময় ঘুমিয়ে নিয়ে নিজের ঘুম পূরণ করে নিতে পারবে। কিন্তু আপনারা তো আর দিনের বেলা যেকোনো সময় ঘুমাতে পারবেন না।

ডাক্তাররা বলেছেন যে মাঝেমধ্যে শিশুর রাত জাগার মধ্যে অস্বাভাবিকত্ব নেই। কিন্তু এটাই যদি তার প্রতিদিনের অভ্যাস হয়, তাহলে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত । কারণ রাতে শিশুর জাগার পেছনে কয়েকটি কারণ কাজ করতে পারে।

অনেক সময় শিশু এমন পরিস্থিতিতে ঘুমিয়ে পড়ে, যা সে কিছুক্ষণ পরে আর পায়না। তখন তার ঘুম ভেঙে যায়। আপনি যদি শিশুকে কোলে নিয়ে ঘুম পারান, আর ঘুমিয়ে পড়লে বিছানায় শুইয়ে দেন, তাহলে কোলের আরাম না পাওয়ার কারণে কিছুক্ষণ পরে ওর ঘুম ভেঙে যেতে পারে। তাই শিশুকে কোলে নিয়ে নয়, বিছানায় শুয়ে ঘুম পাড়ান।

অনেক সময় রাতে শিশুর ডায়াপার বদল করার সময় তার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। শিশুটির দাদা বা দিদি একই বিছানায় শুয়ে থাকলে নিজের অজ্ঞাতলারে সে তার ছোট ভাই বা বোনটির ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

কখন খিদে পেয়েছে তা বুঝতে পারেনা সদ্যজাত শিশুরা। তাই সে ঘুমের মধ্যেও মায়ের স্তন বা ফিডিং বোতল খোঁজে অনেক সময়। সেটা না পেলে তার অস্বস্তি হতে থাকে, তখন ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে শিশু কেদে উঠতে পারে। আরেকটু বড় হলে তার খাওয়ার সময় এর মধ্যে ব্যবধান বাড়বে। তখন এই অভ্যাসটা ও আস্তে আস্তে কেটে যাবে।

আপনার শিশুর রাতে জাগার কারন যদি এই একটিও না হয়, তাহলে হতে পারে তার কোনো শারীরিক সমস্যা আছে। ঘন ঘন কাশি হলে শিশুর ঘুম ভেঙে যায়। অ্যাস্থমা থাকলেও রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে শিশুর।

এছাড়া অ্যাসিড রিফ্লাক্স হলে রাতে পেটে ব্যথা এবং বমি হতে পারে। শিশুর রাতের ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার পিছনে স্লিপ অ্যাপনিয়া ও কাজ করতে পারে। তাই শিশু নিয়মিতভাবে রাতে জাগলে একবার ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া ভালো।

cl: womenscorner

Sharing is caring!

Comments are closed.