পিতা মাতার উচিত সন্তানদের এই পাঁচটি অভ্যাস শেখানো
বাড়িতে একটি শিশু থাকা মানেই সারা ঘরে খুশির জোয়ার বয়ে যাওয়া। পরিবারের সদস্যের আনন্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ঘরে থাকা ছোট্ট শিশুটি। আর মা-বাবা দুজনেই যদি কর্মরত হন তবে তো কথাই নেই। সেই ঘরে বাচ্চার আদর চার গুণ বেড়ে যায়। বাচ্চা যখন যা আবদার করে মা বাবা তাই সামনে এনে হাজির করেন। শাসন কি জিনিস বাচ্চা তার কিছুই বুঝে না।
১। ছোট বয়সে সব ঠিক থাকলেও সমস্যাটা একটু বড় হতে বোঝা যায়। বাচ্চা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে তখন বাড়ির লোক বোঝেন কি ভুলটাই না করেছেন। আপনিও যদি এমন করে চলেন তাহলে তা বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিকভাবে মানুষ করা টা বেশি দরকার। তাই তাকে সঠিক আচার-আচরণ শেখান। আজকাল সব বাবা-মা রায় বাচ্চাকে কয়েকটি ভদ্রতা শেখাতে ভুলে যান যা মোটেও সঠিক নয়। চারচাকা অবশ্যই নিচের পাঁচটি অভ্যাস সেখাতেভুলবেন না।
২। অন্যের কথা শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চার প্রচুর কথা বলে অন্যের কথা শুনে না। সব সময় আলাপচারিতা যে দু’পক্ষের হয় তার শিক্ষা দিন।
৩। বাচ্চাকে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শেখান। একা বড় হওয়ার জন্য অনেক বেশি লজ্জা ভাব দেখা যায়। এটা দূর করানো অভিভাবকের কাজ। তা না হলে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে কারো সঙ্গে দেখা হলে কিভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষা দিন। বাকিটা সে নিজে শিখে যাবে।
৪। বাচ্চাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এর শিক্ষা দিন। কেউ কিছু উপহার দিলে বা কোন কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে বলুন। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুবই দরকার।
৫। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে দুবার রেস্তোরাঁ, বন্ধুয়া পরিজনদের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন হয়ে থাকে। এমন জায়গায় কেমন আচরণ করা উচিত তার শিক্ষা দিন।
আজকাল সবাই ফোনের উপর ভরসা করেন। তা কারো খবর নিতে হোক কিংবা জরুরী কাজে। বাচ্চাদের হাতে ও ছোট থেকে মোবাইল রয়েছে। এর ফোনে কিভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখান। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হয়, কিংবা নিজের কোথাও ফোন করলে কিভাবে কোন টোনে কথা বলতে হয়, শিক্ষা দিন। এটাও একটা ম্যানার্স এর মধ্যে পড়ে।
cl: womenscorner