বাচ্চার ওজন বাড়ানোর নিরাপদ খাবার , ডাঃ আবু সাঈদ শিমুল

বাচ্চার শরীরের ওজন বাড়ানোর কিন্তু সব সময় নিরাপদ নয়। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকলে তবেই ওজন বাড়ানোর চিন্তা করবো।

বেশি ওজনে ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগ হতে পারে। এজন্য প্রথমে ওজনের চার্ট দেখে ঠিক করতে হবে ওজন কম আছে কিনা, ওজন কম থাকলে নিম্নের খাবার গুলো দেয়া যায়।

স্বল্প ওজনের খাবার

প্রতিদিন বাচ্চাকে অতিরিক্ত ২৫ কিলো ক্যালোরি/ কেজি বেশি খাবার দিতে হবে। অর্থাৎ ১০ কেজির বাচ্চাকে প্রতিদিন ২৫০ কিলো ক্যালরি বেশি খাবার দিতে হবে। এই খাবারের .৩০% আসবে চর্বি থেকে ১২ শতাংশ প্রোটিন থেকে, বাকিটুকু শর্করা ভাতের সাথে মিনিমিক্স জাতীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট যোগ করতে হবে।

প্রাণীজ চর্বি যেমন মাছ, ডিম, মাংস খাওয়াতে হবে। সেই সাথে দুধ প্রতিদিন। ছয় মাসের মধ্যে কৃমির ঔষধ না খাইয়ে থাকলে তা দিতে হবে। ও পরিষ্কার পরিছন্নতা বজায় রাখা এবং যে কোনো রোগ থাকলে দ্রুত তার চিকিৎসা করাটাও জরুরি।

খিচুড়ি

আইসিডি ডি আর বি অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিশেষ খিচুড়ি উদ্ভাবন করেছে। এটি তৈরি হতে .৫০ মিনিট সময় লাগে এবং এটি ৬-৮ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়া যায়। এতে শক্তি বা পুষ্টি আছে ১,৪৪২ কিলোক্যালরি।

উপকরণঃ

  • চাল ১২০ গ্রাম
  • মসুর ডাল ৬০ গ্রাম
  • তেল সয়াবিন ৭০ মিলি
  • আলু ১০০ গ্রাম
  • মিষ্টি কুমড়া ১০০ গ্রাম
  • পাতা যুক্ত সবজি শাক ৪০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ দুটি মাঝারি ৫০ গ্রাম
  • মসলা ১৫০ গ্রাম
  • পানি ১ লিটার

রান্নার পদ্ধতি

তেল ,পেঁয়াজ, মসলা, চুলায় দিন। একটু পর দিন চাল ও মসুর ডাল। ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর পানি ঢেলে ঢাকনা বন্ধ করে দিন। ২০ মিনিট পর আলু, কুমড়ার টুকরো ও লবণ দিন। নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। আরও ২০-২৫ মিনিট পর কাটা সবজি পাতিলে ঢেলে দিন ৫-১০ মিনিট পর পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন।

হালুয়া

উপকরণঃ

  • আটা ২০০ গ্রাম
  • মসুর ডাল ১০০ গ্রাম
  • তেল সয়াবিন ১০০ মিলি
  • গুড় ১২৫ গ্রাম
  • পানি ৬০০ মিলিমিটার

মোট শক্তি পুষ্টি ২৪০৪ কিলোক্যালরি

বানানোর পদ্ধতি

মসুর ডাল ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর কেটে গুঁড়ো তৈরি করুন। এরপর গরম তাওয়ায় কয়েক মিনিট ভাজুন। বাটা মসুরের যাইয়ে তেল ও পানি মিশান। গুড় গুলিয়ে এর সাথে মিশিয়ে দিন। এটি তৈরি হতে .১৫ মিনিট সময় লাগবে। স্বাভাবিক তাপে ৬-৮ ঘণ্টা এটি রাখা যায়।

ডাঃ আবু সাঈদ শিমুল।

Sharing is caring!

Comments are closed.