১২ টি ভাল আচরণ, যেগুলো ২ বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের শেখা উচিৎ

শিশুদের শিষ্টাচার-সম্পন্ন করো গড়ে তোলার জন্য তাদের প্রতিদিনই উৎসাহ দিতে হবে।  এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যাতে দরকার নিয়মানুবর্তিতা এবং অসীম ধৈর্য।

আমরা এর আগে আলোচনা করেছি যে যদি আপনি শিশুদের কেতাদুরস্ত করে বড় করতে চান তাহলে কি কি করা চলবে না।  এবার আসুন, আমরা খতিয়ে দেখি যে কোন কোন আচরণ আপনার বাচ্চাকে ২ বছর বয়স থাকে ৯ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত শিখে নিতেই হবে।

“দয়া করে” এবং “ধন্যবাদ” বলা

যখনই তারা কথা বলতে শিখবে, তাদের অবশই বিনয়ী হওয়ার গুরুত্ব শিখতে হবে।  কাউক্কে অনুরোধ করার সময় ‘প্লীজ’ (অনুগ্রহ করে) এবং ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ (ধন্যবাদ) বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস এবং এগুলি বলার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উৎসাহিত করা উচিৎ।

কথোপকথনের মাঝখানে বাধা না দেওয়া

যখনই বাচ্চারা তাদের মনের ভাব কথা বলে প্রকাশ করতে শিখবে, মা-বাবাকে তাদের শেখাতে হবে যে অন্যের কথার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, যদি না ভীষণ জরুরী কোনও কথা থাকে।

‘এক্সকিউজ মি’ (ক্ষমা করবেন) বলা

কারও কথার মাঝখানে কথা বলতে হলে বিনীতভাবে ‘এক্সকিউজ মি’ বলতে শিখতে হবে।  শিষ্টাচারের এই নিয়মটি ঢেকুর তুললে বা কাশলে অথবা কারও পাশ দিয়ে পার হবার সময়ও প্রযোজ্য।

কারও দেহগত আকৃতি নিয়ে মন্তব্য না করা

যদিও বাচ্চাদের সারল্য আপনার স্নেহের চোখে অনাবিল মনে হতে পারে, কিন্তু এর ফলে অন্য কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন।  তাদের জানা উচিৎ যে কাউকে মোটা বলা ঠিক নয়, এমনকি আড়ালেও।

প্রবেশ করার আগে দরজায় টোকা দেওয়া

দরজা যদি ছিটকিনি দেওয়া নাও থাকে, একটি বন্ধ দরজা খোলার আগে বাচ্চাদের টোকা দেওয়া শিখতে হবে।  তাদেরকে শেখান যে ভেতর থেকে কেউ সাড়া না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

খারাপ ভাষা এড়িয়ে চলা

শিশুরা স্পঞ্জের মতো। তারা যে টিভিতে যা দেখছে বা বড় বড়দের কাছে যা শুনছে তা আত্মস্থ করে নেয়। অনেক সময়য় তারা জানেই না যে কথাটা খারাপ বা অশ্লীল।  সুতরাং, এটি অভ্যাসে পরিণত হওয়ার আগেই তাদেরকে শোধরান এবং হালাগাল বা জঘন্য ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত করুন।

অন্যদের নিয়ে মজা না করা

অন্যদের ক্ষ্যাপানো বা কাউকে নিয়ে মজা করা খুবই খারাপ আচরণ। খেলার মাঠে যতই বাধাহীন হোক না কেন, বাচ্চারা যেন গালাগালি না দেয় সে ব্যাপারে মা-বাবাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।

কাশি বা হাঁচির সময় মুখের সামনে হাত রাখা

অন্যের প্রতি সুবিবেচনা স্বরূপ বাচ্চাদের অবশ্যই হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকার অভ্যেস করতে হবে।

সবার সামনে নাক না খোঁটা

নাক খোঁটা চলবে না।  তাদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে শেখান, বা বাথরুমে যাবার ছুতো করতে বলুন।

যখন কারও কিছু প্রয়োজন হয়, সাহায্য করতে প্রস্তাব দেওয়া

উদাহরণস্বরূপ, যদি তাদের কাকীমা কোনও পারিবারিক সমাগমে রান্নাঘরে নাজেহাল হচ্ছেন, তাদেরকে  বলুন যেন সাহায্য করার প্রস্তাব দেয়।  এটা করলে বিনয় প্রকাশ করা হয়।

কোনোকিছু যদি বিরক্তিকরও হয়, ঠোঁট না ওলটানো

অনেক সময় বাচ্চাদের ক্লাসে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বসে থাকতে হয়, যাতে তাদের একটুও মজা লাগে না।  তবুও তাদের শান্ত হয়ে ধৈর্য সহকারে ভালভাবে বসে থাকতে শেখান।  এটা একেবারে ছোট শিশুদের পক্ষে কঠিন হতে পারে, কিন্তু ক্রমাগত শিখিয়ে গেলে তারা যেমন যেমন বড় হবে, অবশ্যই এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হবে।

কিছু দরকার থাকলে সুন্দরভাবে বলা

যেমন ধরুন, খাবার সময়, যদি তাদের কিছু দরকার হয়, টেবিলের ওপর থেকে তা তুলে না নিতে শেখান।  তার বদলে তাদের বলুন যেন সেটি আস্তে করে চায় এবং দেওয়া হয়ে গেলে ধন্যবাদ জানায়! theindusparent

Sharing is caring!

Comments are closed.