অনেকক্ষেত্রে শিশু জন্মানোর সাথে সাথেই মারা যায় কেন?

অনেক সময় দেখা যায় শিশু জন্মাবার কিছু ঘন্টা পরই মারা যায়। এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনা বাবা মায়েদের পক্ষে, বিশেষ করে মায়েদের পক্ষে মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু কেন হয় এমনটা সেটাও আপনার জানা প্রয়োজন। হঠাৎ কোনো শিশু জন্মের পর মারা যাওয়া মানেই তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে SIDS-এর কারণে হয়ে হয়ে থাকে যা ক্রিড ডেথ বা খালের মৃত্যুর নামেও পরিচিত। অনেক সময় একটি সুস্থ শিশুও যার বয়স এক বছরের কম সেও হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে মৃত্যুর মুখে চলে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, ঘুমের সময় কোনও প্রমাণ ছাড়াই এটি ঘটে থাকে কোন ধরণের শব্দ না করেই।

SIDS-এর যথাযথ কারণগুলি অজানা কিন্তু এটি শিশুর মস্তিষ্কের একটি অংশের সাথে যুক্ত যা শ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে এবং ঘুম থেকে জেগে উঠতে সাহায্য করে। পেট বা মস্তিষ্কের কিছু পরিবেশগত চাপ, ওষুধ এবং তামাকের ধোঁয়ার প্রবণতা সবসময় SIDS কে প্রভাবিত করতে পারে।

SIDS এর সাথে যুক্ত কিছু শারীরিক কারণগুলি হল:

১. মস্তিষ্কের দুর্ঘটনা

কখনও কখনও শিশুর অন্তর্নিহিত জৈবিক ঝুঁকির সাথে জন্ম হয় যা বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে একটি বহিরাগত লক্ষন হয়ে উদ্ভূত হতে পারে। এই SIDS শিশুর মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে।

২. জন্মের পর কম ওজন

শিশু সময়ের পূর্বেই যদি জন্মগ্রহণ করে তবে তাদের কম ওজন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এটি শিশুর মস্তিষ্কের অনুপস্থিতির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে যার ফলে সে শ্বাস ও হৃদস্পন্দনের মতো স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার উপর কম নিয়ন্ত্রণ পায়।

৩. শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ

এটা দেখা গেছে যে অনেক শিশু যারা SIDS এর কারণে মারা গেছে তাদের অনেকের শ্বাস কষ্টের সমস্যা ধরা পড়েছিল মৃত্যুর পর।

৬. লিঙ্গ

মহিলা শিশুদের তুলনায় SIDS বেশি প্রভাবশালী পুরুষ শিশুদের উপর।

প্রতিরোধ

১. সঠিক ঘুমন্ত অবস্থান

বিশেষ করে প্রথম বছরে ঘুমের সময় বাচ্চাকে সবসময় সোজা হয়ে ঘুম পাড়ান অর্থাৎ পিঠের ওপর ভর দিয়ে।

৪. স্তনদুগ্ধ

যদি সম্ভব হয় SIDS এর ঝুঁকি কমাতে কমপক্ষে ৬ মাস ধরে বুকের দুধ খাওয়ান ।

Source:tinystep

Sharing is caring!

Comments are closed.