বাসায় খেলতে খেলতে শিশুরা অনেক সময় মুখে অনেক কিছু ঢুকিয়ে দেয় বা তাদের গলায় আটকে যায়। এমন সমস্যা হলে জরুরী ভাবে কি করা উচিৎ?

প্রাণীদের মধ্যে কেবলমাত্র মানব শিশুই অন্যের ওপর নির্ভর করে বড় হয়। তার লালন পালনের দায়িত্বে কারও না কারও থাকতেই হয়। নিজের বিপদের সম্ভাবনা সে অনুভব করতে পারে না। শিশু নতুন কিছু দেখছে তার আকর্ষণে সে দ্রুত ছুটছে। শিশু নতুন কিছু করে দেখাতে চাইছে। যেমন, কারও সাহায্য ছাড়া গড়িয়ে যাওয়া, হামাগুড়ি দেওয়া, হাঁটা, আরোহণ করা, দুই আঙুলে খুঁটে জিনিস কুড়িয়ে মুখে পুরে দেওয়া।

জ্বলন্ত আগুনকেও তার ছুঁয়ে দেখার কৌতূহল, যে কোনো অখাদ্য মুখে দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করার আগ্রহ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই একটি শিশু দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। অনধিক পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রটি বিশাল। * মুখে ঢুকে যেতে পারে এমন খেলনা বাচ্চাদের নাগাল থেকে দূরে রাখুন। মার্বেল, কয়েন এমন কোনো শক্ত পদার্থ শিশু যেন হাতের কাছে না পায়। * যে কোনো ধরনের ওষুধ, কাঁচি, ব্লেড, সুচ, আলপিন জাতীয় ধারালো জিনিস শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। * ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ব্যবহারিক আসবাব শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। ঘরে বৈদ্যুতিক তার যত্রতত্র যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

* ড্রেসিং টেবিলের ওপর খোলা জায়গায় বডি স্প্রে, লোশন, হেয়ার স্প্রের মতো কসমেটিক আইটেম সাজিয়ে রাখবেন না। শিশু না বুঝে স্প্রে করে চোখেমুখে দিয়ে ফেলতে পারে। * কাচের শোপিস, ধারালো তৈজসপত্র শিশু থেকে দূরে রাখুন। * ছোট বস্তু যেমন পিন, বোতাম, ক্লিপ, পয়সা, মটরদানা ইত্যাদি ছোট্ট শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন। ফুটো হয়ে যাওয়া বেলুন সে গিলে ফেলতে পারে এবং তাতে শ্বাসরোধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। * যত ধরনের তার আছে তা শিশুর নাগাল থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন, যেমন ফোনের তার, কাপড়চোপড়ের ফিতে, ইলেকট্রিক তার।

* ইলেকট্রিক প্লাগের পয়েন্টগুলো ট্যাপ দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে দিন, অথবা শিশু যাতে নাগাল না পায় সে রকম উচ্চতায় স্থাপন করুন। * পলিথিন ব্যাগ শিশুর নাগালে রাখা নিষিদ্ধ। ওর ভেতরে শিশুর মুখ ঢেকে গেলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। গিলে ফেললে একই সমস্যা দেখা দিতে পারে। * শিশু যা কিছু স্পর্শ করতে বা খেতে চায়, আগেভাগেই তার তাপমাত্রা দেখে নিন। * শিশুকে কাছে নেওয়ার সময় আপনার হাতে থাকা গরম চা, খাবার বা পানীয় সতর্কতার সঙ্গে দূরে রাখুন। * ওষুধ বা বিষদ্রব্য যেন শিশুর নাগাল থেকে দূরে থাকে। শিশুর নাগালে না আসার মতো উঁচু স্থানে তা রাখা চাই।

Sharing is caring!

Comments are closed.