শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ।

কখনো কি লক্ষ্য করেছেন আপনার শিশুকে প্রায়শই বিষন্ন ও অন্তর্মুখী মনে হচ্ছে? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে সে হয়তো নির্দিষ্ট কিছু শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ প্রকাশ করছে, যা একেবারেই উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। অনেক সময়, অভিভাবকেরা পার্থক্য করে উঠতে পারেন না শিশুদের সাধারন দুঃখ বা বদমেজাজ এবং শৈশবকালীন অবসাদের মধ্যে, কারণ এগুলির কিছু লক্ষণ অনেকটা একইরকমই হতে পারে। এই কারণে, কিছু শিশুদের মধ্যে শৈশবকালীন অবসাদ বিনা চিকিৎসায় রয়ে যেতে পারে, যা পরবর্তী জীবনে বিভিন্নরকম মানসিক স্বাস্থ্যের জটিলতা সৃষ্টি করে, প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, শৈশবকালীন অবসাদের সূক্ষ্ম লক্ষণগুলির ওপরও সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন, যাতে আপনি আপনার শিশুকে ওর প্রয়োজনীয় সাহায্যটুকু দিতে পারেন! এখন আপনি হয়তো ভাবছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের অবসাদ ও শৈশোবকালীন অবসাদের মধ্যে পার্থক্যটা কি হতে পারে, তাই তো? যখন একটি শিশু মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন সে বুঝে উঠতে পারে না তার সাথে কি হচ্ছে, এর কারণ মানসিক আঘাত। যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের একটা ধারনা থাকে এই অবসাদ সম্বন্ধে, এবং শৈশবকালীন অবসাদ এখানেই আলাদা। তাই এইখানে কিছু শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ দেওয়া হল, যা অভিভাবকদের অবশ্যই জেনে রাখা প্রয়োজন। আসুন, দেখে নেওয়া যাক।

১. খারাপ ফল

আপনার শিশু হঠাৎ করেই স্কুলে খারাপ ফল করছে, এটি শৈশবকালীন অবসাদের একটি লক্ষণ। কারণ, অবসাদ শিশুকে অন্যমনস্ক করে দেয়, একগ্রতা ও স্মৃতিশক্তির দক্ষতা বিঘ্নিত করে।

২. একটানা অবসাদ

যদি হঠাৎ করেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরেও আপনার সদা প্রাণচঞ্চল শিশুটির মধ্যে অত্যন্ত ক্লান্তি দেখা দেয়, তাহলে এটি শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ হতে পারে।

৩. মূল্যহীনতা বোধ

যদি আপনার শিশু প্রায়শই বলতে থাকে, “আমাকে কেউ ভালবাসে না” বা এমনি কিছু কথা। তবে এটি একটি লক্ষণ হতে পারে মূল্যহীনতা বোধের, যা কিনা শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ। ধূপকাঠির ধোঁয়া শরীরের উপর কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে জানা আছে? সাবধান: এদেশে বাড়ছে কিডনি স্টোনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা! কলকাতাবাসী সাবধান: ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়ছে কিন্তু শহরে!

৪. হাল ছেড়ে দেওয়া বা নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া

যদি হঠাৎ-ই আপানার শিশু, বন্ধু-বান্ধবের সাথে বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করা বন্ধ করে দেয় বা যদি লোকেদের সাথে মেলামেশা করতে না চায় তবে এটিও একটি শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ।

৫. আগ্রহের ঘাটতি

মজাদার ফ্যামিলি আউটিং এর জন্য বলায় যদি আপনার শিশু তা মানা করে দেয় এবং সারাদিন নিজের ঘরেই কাটাতে চায়, তবে তা শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ।

৬. আক্রমণাত্বক হয়ে পরা

যদি আপনার শিশু তার স্বভাবের বাইরে গিয়ে আক্রমণাত্বক ব্যবহার ও অতরিক্ত রাগের বহিপ্রকাশ করে তবে তা শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ হতে পারে।

৭. উদাসীনতা

বিষাদগ্রস্ত শিশুরা সাধারণত, আনন্দদায়ক ঘটনাগুলি থেকে বা তার মা-বাবার স্নেহ-ভালবাসার অভিব্যক্তির থেকেও উদাসীন থাকে।

৮. ক্ষুধামান্দ্য

ক্ষুধামান্দ্য, এটি হঠাৎ করেও হতে পারে। এটিও শৈশবকালীন অবসাদের লক্ষণ হতে পারে। এবং এটি বলা খুবই মুশকিল কারন বেশিরভাগ শিশুরাই ঠিকঠাক ভাবে খাওয়ার ব্যাপারে খুবই খামখেয়ালী হয়ে থাকে।

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.