প্রাকৃতিক উপায়ে প্রসুতি মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার উপায়

বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য প্রতিটি চেষ্টাই খুবই মূল্যবান। কারণ শিশুর কমপক্ষে এক বছরের খাদ্য হিসেবে মায়ের বুকের দুধ সর্বোৎকৃষ্ট।

বুকের দুধ শিশুর সকল পুষ্টির চাহিদা তো পূরণ করেই, একই সঙ্গে শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে যা শিশুকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে, অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে এবং বেড়ে ওঠার সাথে সাথে অ্যাজমা ও ওবেসিটির ঢাল হিসেবে কাজ করে।

বুকের দুধ খাওয়ানো মাকে তার গর্ভকালীন সময়ে বৃদ্ধি পাওয়া ওজন দ্রুত কমাতেও সহায়তা করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যে মায়েরা তাদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার ও ওভারিয়ান ক্যান্সার হবার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

এতকিছুর পরেও অনেক মায়েরাই তাদের শিশুদেরকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন না। কারণ তাদের পর্যাপ্ত বুকের দুধ হয় না। পর্যাপ্ত বুকের দুধ না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণগুলো হল,

অপর্যাপ্ত খাদ্য ও তরল গ্রহণ, অধিক ধকল নেয়া এবং বাচ্চাকে বেশি অনিয়মিতভাবে ভাবে অথবা খুব অল্প সময়ের জন্য বুকের দুধ খাওয়ানো।

বুকের দুধ বাড়ানোর কিছু প্রাকৃতিক টিপস্‌

    • (১) সুষম খাবার গ্রহন। প্রতিদিন ২,৫০০ ক্যালরি গ্রহণ করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
    • (২) ভাল হবে যদি যে সব খাবারে উচ্চ ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, দুধ ও ডিম জাতীয় খাবার, প্রচুর ভিটামিন যোক্ত ফল, এবং উন্নত মানের কিছু লতা পাতা জাতীয় শাঁক ও তরকারী, লবণাক্ত মাছ বা সারটিন জাতীয় মাছ, বাদামী চাল, চর্বিহীন মাংস, এবং কচি মুরগের বাচ্চা ইত্যাদি নিজ সাধ্যমত খাওানোর চেস্টা করা উচিত।
  • (৩) প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। মায়ের শরীর কখনোই পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করতে পারে না যদি পানি পানের পরিমাণ কম হয়।

(৪) রাতে যতটুকু সম্ভব নিশ্চিন্তে ঘুমানো এবং দিনের বেলাতেও শিশু ঘুমানো অবস্থায় অল্পক্ষণের ঘুম দিয়ে নেয়া।

  • (৫) নিয়মিত কিছু হালকা ব্যায়াম করা।
  • (৬) বাসার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কাজ ভাগ করে নেয়া, যাতে একার উপর চাপ বেশি না পড়ে।
  • (৭) ঘন ঘন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
  • (৮) প্রতিদিন এক বাটি করে ওটমিল খাওয়া।

Sharing is caring!

Comments are closed.