মাছে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে

খাবার গ্রহনে অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের অনীহা কাজ করে।

বেশিরভাগ শিশুই মাছের বদলে মাংস পছন্দ করে। অনেক সময়ই মাছ খেতে চায় না তারা। কিন্তু মাছ খাওয়ার বিষয়ে শিশুর এ অনীহা মোটেও স্বাস্থ্য-হিতকর নয়।

সম্প্রতি এক সায়েন্টিফিক জার্নালে এমনটাই বলা হয়েছে। জার্নালে বলা হয়েছে, যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায় তাদের বুদ্ধিমত্তা অন্য শিশুদের তুলনায় উন্নত হয়।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষক একটি সমীক্ষা চালান। ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে,

যেসব শিশু সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও মাছ খায় তারা অন্য শিশুদের(মাছ না খাওয়া) তুলনায় বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় (আইকিউ টেস্ট) ভালো করে। শুধু তাই নয়, যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায় তাদের ঘুমও হয় ভালো।

গবেষকরা ৫০০ শিশুর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেন। এতে অংশ নেওয়া শিশুদের বয়স ছিল ৯ থেকে ১১ বছর। তাদের প্রত্যেককে প্রশ্ন করা হয়-তারা মাছ খায় কিনা? কতদিন পর পর মাছ খায়? এরপর তাদের বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নেওয়া হয়।

ফলাফলে দেখা গেছে, যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায় তারা বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষায় অন্যদের চেয়ে গড়ে ৪.৮ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে।

পাশাপাশি শিশুদের বাবা-মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়—তাদের সন্তানদের ঘুম কেমন হয়? বাবা-মায়ের উত্তর থেকে গবেষকরা দেখতে পান, যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায় তাদের ঘুমও হয় ভালো।

গবেষকরা জানান, মাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকে। এই ফ্যাটি এসিড শিশুর বুদ্ধি বিকাশে দারুন সহায়ক। স্যামন, সার্ডিন, টুনা জাতীয় মাছে এই ফ্যাটি এসিড পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে। এ কারণে যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায় তাদের বুদ্ধির বিকাশ ভালো হয়, ঘুমও ভালো হয়।

তাই, আপনার শিশুকে নিয়মিত মাছ খাওয়াত ভুলবেন না যেন।

তথ্যসূত্র-সিএনএন

কৃতজ্ঞতাঃ kalerkantho

Sharing is caring!

Comments are closed.