বাচ্চা বড় করতে নতুন প্রজন্মের মায়েদের জন্য় থাকলো কিছু টিপস
এখন সময় বদলেছে। পরিবার ছোট ছোট হতে হতে শুধু স্বামী-স্ত্রীতে এসে ঠকেছে। ফলে বাচ্চা হতে না হতেই সেই চাপ সামলাতে প্রায় হীমসিম খেতে হচ্ছে নতুন বাবা-মায়েদের। সর্বোপির, আজকালকার মায়েদের অবস্থা হয়েছে আরও সচনীয়। কারণ অফিস এবং বাচ্চা, এই দুই সামলাতে গিয়ে তাদের প্রায় নাস্তানাবুদ খাওয়ার জোগার হয়েছে। তাই তো এই প্রবন্ধে নতুন প্রজন্মের মায়েদের জন্য় থাকল এমন কিছু টিপস, যার সাহায্য়ে তারা অফিস সামলেও খুব সহজেই বড় করে তুলতে পারবেন তাদের বাচ্চাদের।
বাচ্চার দরকারে সব সময় তার পাশে থাকুন: বতর্মান জেটযুগে সবাই এত স্বার্থপর হয়ে উঠেছে যে নিজের ভালোর আগে অন্য়ের কথা কেউ যেন আর ভাবতেই চায় না। নব প্রজন্মের মায়েরা যেন এমন না হন। বাচ্চারা তাদের কাছে সব কিছুর থেকে আগে, এই ধারণা মনে নিয়ে চলতে হবে মায়েদের। তাই কাজের বাহানা দিয়ে নিজের দায়িত্ব থেকে এড়িয়ে যাওয়া একেবারেই চলবে না। বরং বাচ্চার পাশে থেকে তাদের বোঝাতে হেব যে তাদের মা তাদের জন্য় সব সময় আছে। এমনটা করলে দেখবেন বাচ্চার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক দিন দিন কেমন দারুন হয়ে উঠছে।
টাকার গুরুত্ব বোঝাতে হবে: ছোট থেকেই বাচ্চারা যাতে টাকার মূল্য় বোঝে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে মায়েদের। এমনটা হলে দেখবেন অনেক সমস্য়াই আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে না।
পরিবারের জন্য় সময় রাখুন: যতই ব্য়স্ত থাকুন না কেন, দিনে কম করে তিন ঘন্টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই হবে। তাই নতুন প্রজন্মের মায়েরা যেন খেয়াল রাখেন, সে এবং তার স্বামী এই সময়টা যেন তাদের বাচ্চাদের সঙ্গে কাটান। কারণ বাচ্চারা তো তাদের প্রথম পাঠ বাবা-মায়েদের থেকেই পেয়ে থাকেন। অকারণ ব্য়স্ততার বাহানায় তাদের এই অভিজ্ঞতা থেকে বিঞ্চিত করা বাবা-মায়েদের একেবারেই করা উচিত নয়!
সামাজিক হতে হবে: নতুন প্রজন্মের মায়েরা পার্টি করতে ভালোবাসবেন, এতে আশ্চর্যের কী আছে। কিন্তু সেই সঙ্গে মায়েদের মনে রাখতে হবে, মাঝেমধ্য়ে তাদের এমন পার্টিতেও যেতে হবে যেখানে আরও অনেক বাচ্চারা থাকবে। এইভাবে আপনার বাচ্চাও আস্তে আস্তে সামাজিক হতে শিখবে।
বড় স্বপ্ন দেখুন: বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও? এমন প্রশ্ন যখন মায়েরা তাদের বাচ্চাদের করবেন তখন যেন সেই উত্তর শুনে মায়েদের মুখে হাসি এসে যায়। অর্থাৎ বাচ্চাদের সব সময় বড় স্বপ্ন দেখাতে শেখাতে হবে। শুধু তাই নয়, তারা যাতে তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে মায়েদের।
সব সময় বাচ্চাদের উৎসাহিত করুন: ছোট থেকেই আপনার বাচ্চার মনের জোর বাড়াতে যে কোনও পরিস্থিতিতে তার পাশে দাঁড়ান। এমন করলে দেখবেন আপনার বাচ্চা কোনও দিন জীবনে চলার পথে আটকে যাবে না। আর এমনটা হলে আপনি এবং আপনার ছোট্টো সোনা, দুজনেই যে আনন্দের উচ্চ শিখরে থাকবেন, তা কী আর আলাদা করে বলে দিতে হবে!
Source:boldsky