শিশুদের জন্য প্রকৃতির সংস্পর্শ জরুরি

নাগরিক জীবন, যন্ত্রের দাপট আর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার ব্যস্ততায় এ যুগের শিশুরা তাদের বাসা আর বিদ্যালয়ের চার দেয়ালের মধ্যে ক্রমেই আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। বাইরের মুক্ত পরিবেশে ছুটে বেড়ানোর ফুরসত তাদের নেই বললেই চলে। এই সীমাবদ্ধতা শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য ইতিবাচক নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রকৃতির সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ মাত্র এক প্রজন্মের ব্যবধানেই বন্ধ হয়ে গেছে বলে দাবি করছে ওয়াইল্ড নেটওয়ার্ক নামের একটি পরিবেশবাদী সংগঠন। তারা এ যুগের শিশুদের প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে ‘মুক্ত সময়’ কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে। সংগঠনটির প্রধান অ্যান্ডি সিম্পসন বলেন, প্রকৃতির সংস্পর্শ থেকে কোমলমতি শিশুদের বঞ্চিত রাখার বিষয়টি বেদনাদায়ক। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট যদি তারা টেলিভিশন বা কম্পিউটার গেমস বন্ধ রেখে ঘরের বাইরে গিয়ে খেলাধুলা করে, তাতে তাদের স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ধারা বহাল থাকবে।

পাখি সংরক্ষণবিষয়ক সংগঠন আরএসপিবির এক গবেষণায় সম্প্রতি বলা হয়, যুক্তরাজ্যে আট থেকে ১২ বছর বয়সী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে মাত্র একজনের প্রকৃতির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ফলে অধিকাংশ শিশু সাধারণ গাছপালা, পশুপাখি ও পোকামাকড় চিনতে পারে না। বিবিসি।

সূত্র – প্রথম আলো

Sharing is caring!

Comments are closed.