শিশু লালনপালনে তিন ভুল

শিশুর লালনপালনের ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। এগুলোর কারণে মা ও শিশু উভয়েই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ে। এমন কিছু ভুল ধারণা নিয়ে আজকের আলোচনা।

১. ভুল ধারণা : নবজাত শিশু দৈনিক ৮/১০ বার পায়খানা করলে বুঝতে হবে তার ডায়রিয়া হয়েছে। দুদিন ধরে পায়খানা বন্ধ থাকলে বুঝতে হবে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে।

প্রকৃত সত্য : নবজাত শিশুর জন্য দৈনিক ৮/১০ বার আধা শক্ত আধা তরল ধরনের পায়খানা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। একইভাবে দুদিনে একবার পায়খানা হওয়াটাও তার জন্য স্বাভাবিক। ডায়রিয়া হলে শিশুর পায়খানা হবে পানির মতো, সবুজ ও বিশেষ গন্ধযুক্ত। অন্যদিকে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুর পায়খানা হবে শক্ত। পায়খানার সময় শিশু ব্যথায় কান্নাকাটি করবে এবং পায়খানা করতে কষ্ট হবে।

২. ভুল ধারণা : চোখ ঠান্ডা রাখার জন্য নবজাতকের চোখে কাজল দেওয়া উচিত।

প্রকৃত সত্য : কাজলের মধ্যে থাকতে পারে লেড নামক বিষাক্ত পদার্থ। এটি চোখ থেকে শোষিত হয়ে রক্তে চলে যেতে পারে। এ ছাড়া দীর্ঘদিনের ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে শিশুর বুদ্ধিমত্তা কমে যেতে পারে। এ ছাড়া কাজল দেওয়ার কারণে যেকোনো সময়ে চোখে সংক্রমণ হতে পারে।

৩. ভুল ধারণা : ঋতুস্রাব চলাকালীন কিংবা অন্যান্য অসুস্থতা, যেমন—সর্দি, কাশি, টাইফয়েড, কলেরা ইত্যাদি রোগে ভোগা অবস্থায় মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন না।

প্রকৃত সত্য : এসব অসুস্থতায় মাতৃদুগ্ধপানে কোনো নিষেধ নেই। কারণ, এসব রোগ মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে ছড়ায় না। আর ঋতুস্রাব চলাকালীনও শিশুকে বুকের দুধদানে কোনো নিষেধ নেই। তবে এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে, অর্থাৎ মায়ের এইডস থাকলে তখন শিশুকে বুকের দুধ দেওয়া যাবে না।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।

cl-ntv

Sharing is caring!

Comments are closed.