শিশুর ঘুমের সমস্যা হলে কী হয়

শিশুদের তীব্র ঘুমের সমস্যা হলে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে এবং এর সঙ্গে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে রোগব্যাধি। সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, চার বছরের কোনো শিশুর যদি ঘুমের সমস্যা হয়, তবে এটা উচ্চ ঝুঁকির মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে, যা হয়তো ছয় বছর বয়সে গিয়ে প্রকাশ পায়। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে ডেভেলপমেন্টাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার প্যাডিয়াট্রিকস জার্নালে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এই তথ্য।

শিশুরা সঠিকভাবে ঘুমাচ্ছে কি না এবং ঘুমের সময় পর্যাপ্ত হচ্ছে কি না, এই বিষয়টি খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সাইকোলজিস্ট এবং সহযোগী অধ্যাপক সিলজি স্টেইনবিক বলেন, দিন দিন কম ঘুমানো বা খারাপভাবে ঘুমানো ভবিষ্যতে খারাপ প্রভাব ফেলে।

প্রায় চার বছরের এক হাজার শিশু এবং ৮০০ মা-বাবার ওপর গবেষণাটি করা হয়; পরবর্তী দুই বছর তাদের অবস্থা পুনরায় যাচাই করে দেখা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, যেসব শিশু ঘুমের সমস্যায় ভুগেছে, তাদের খুব সহজে উদ্বেগ ভর করে এবং তাদের আচরণগত সমস্যাও দেখা গেছে। গবেষকরা বলেন, এটি অনেকটা চক্রের মতো। প্রাপ্ত বয়সে গিয়েও এই উদ্বেগ থেকে যায় এবং বড় ধরনের মানসিক সমস্যার কারণ হয়। এর ফলে ইনসমনিয়া, ঘুমের মধ্যে হাঁটা, হাইপারসোমনিয়া এসব সমস্যা হতে পারে।

গবেষকদের পরামর্শ, শিশুর ঘুমের সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা এই মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে। তাই শিশুর ঘুমের প্রতি যত্ন নিন।

Sharing is caring!

Comments are closed.