২ টি গর্ভধারণের মধ্যে কতটা সময়ের ব্যবধান থাকা উচিৎ?

বিষয়টি নিয়ে অনেক মতবিরোধ থাকলেও বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ মতে ২ টি গর্ভধারণের মধ্যে মোটামুটি ৩ থেকে ৫ বছরের ব্যবধান থাকা উচিৎ। যদিও প্রসবের ৪০ দিনের পরেই একজন মা তার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারেন, কিন্তু পরবর্তী সন্তান ধারনের জন্য শারীরিক যোগ্যতা লাভ করতে কমপক্ষে ২ টি বছর সময় লাগে। আর তাই দুইটি গর্ভধারণের মধ্যে কমপক্ষে ২ বছর ব্যবধান থাকা উচিৎ।

 

দুই বছরের কম বিরতি দিয়ে সন্তান পেটে আসলে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশু কম ওজনের হয়, পিছিয়ে থাকে গড়ন আর বাড়ন্তিতেও। এরা ঘন ঘন অসুস্থ হয় এবং জন্মের প্রথম বছরে এদের মারা যাবার সম্ভাবনা স্বাভাবিক ওজনের শিশুর চেয়ে চারগুন বেশি থাকে। একই মায়ের দুই বছরের কম বয়সী আরেকটি শিশু থাকলে উভয় শিশুরই স্বাস্থ্য ও স্বাভাবিক বিকাশ হুমকির সম্মুখীন হয়। এক্ষেত্রে বড় শিশুটিকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। শিশুর প্রয়োজনীয় বিশেষ খাদ্য তৈরীতে মা তেমন সময় দিতে পারেন না। ছোট ও বড় কোনটিরই স্বাভাবিক যত্ন, অসুস্থতায় সেবা ও আদর-স্নেহে মনযোগ দিতে পারেন না মা। মা নিজেও বিশ্রাম বা শান্তি কোনটারই সুযোগ পান না। ফলে ভগ্ন স্বাস্থ্যে মা না পারেন নিজেকে নিয়ে কুলিয়ে উঠতে, না পারেন সন্তান দুটিকে ভালভাবে সামলাতে। ফলে সংসার সামলাতে ব্যর্থ হয়ে মা-বাবা দাম্পত্য কলহে জড়িয়ে পড়েন।

 

অন্যদিকে অনেক বেশি ব্যবধানে সন্তান নেবার কিছু অসুবিধাও আছে। আনেক সময় দেখা গেছে প্রথম সন্তান নেবার পর অনেক বছর পেরিয়ে গেলে মায়ের গর্ভভীতি বেড়ে যায় এবং আরেকটি সন্তান নেয়াকে সাংসারিক ঝামেলা ও প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করেন। বেশি ব্যবধানে সন্তান নিলে দুই ভাই বা ভাই বোনের মধ্যে হৃদ্যতা গড়ে উঠে না। বয়সের ব্যবধানে বড় জন হয়ে যায় মুরুব্বী, খেলার সাথী নয়।

Sharing is caring!

Comments are closed.