শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা কী?

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ প্রচলিত সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, মলত্যাগের অভ্যাস ঠিকমতো না হওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা হয়। এর চিকিৎসা কী?

ডা. মো. নজরুল ইসলাম আকাশ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আপনাদের পরামর্শ কী থাকে?

উত্তর : অনেক সময় আমরা চিকিৎসকরা বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দিই না। না গুরুত্ব দেওয়ার কারণে তারা একটি চক্রে চলে যায়। একবার কোষ্ঠকাঠিন্য হলো, এরপর এটি আস্তে আস্তে এমন একটি পর্যায়ে চলে আসে যে মনে হয় এটি বড় কোনো রোগ।

আমি প্রথমে বলেছি এটি একটি বদঅভ্যাসের ফসল। প্রথমে বাচ্চাকে তার নিজের মতো করে খেতে দিতে হবে। তারও একটি পছন্দ আছে। তবে পছন্দটা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যেন তার কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়। সে জন্য খাদ্যের চার্টে আমরা সব সময় সবজির পরিমাণ বেশি রাখব। পানি যাতে পর্যাপ্ত খায়। আর প্রতিটি খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে জুস পানি ইত্যাদি দিতে হবে।

পাঁচ মাস পর্যন্ত বাচ্চারা মায়ের দুধ খায়। দুধ খেলে সাধারণত তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। যখনই আমরা নতুন খাবারে যাই, তখনই সেখান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার একটি আশঙ্কা দেখা যায়।

প্রশ্ন : চিকিৎসা কী?

উত্তর : প্রথম ছয় মাসে সাধারণত এই সমস্যাগুলো হয় না, যদি বুকের দুধ খায়।  ধরেন পরবর্তীকালে কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ে একটি শিশু আমার কাছে এলো। তার অভ্যাসগত কোষ্ঠকাঠিন্য যখন বুঝতে পারব, তখন প্রথমে তার পেটের ভেতর যে শক্ত পায়খানা আছে, সেগুলো বের করার ব্যবস্থা করতে হবে।

কিছু ওষুধের মাধ্যমে চেষ্টা করি। গ্লিসারিন সাপজিটরি দিয়ে প্রথমে পেটের শক্ত পায়খানাগুলো বের করে দিই। আমরা তাকে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিই, ডমপিরিডট দিই। এর সঙ্গে বাচ্চার যদি পায়খানার রাস্তায় ব্যথা অনুভব হয়, তাহলে ব্যথানাশক ওষুধ দিই। বাচ্চাকে একটি আরামদায়ক স্থানে বসাতে বলি।

আর বাচ্চার সঙ্গে যার সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক থাকে, সে পায়খানা করার সময় শিশুর সঙ্গে বসে থাকবে। পরিবেশটা হতে হবে খুব সুন্দর। আর ঘুম থেকে ওঠার পর বাচ্চাকে গরম দুধ, গরম পানি অথবা জুস যদি খাইয়ে দিই, তাহলে তার পায়খানার জন্য একটি বেগ হবে।

cl-ntv

Sharing is caring!

Comments are closed.