ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে কি ঠান্ডা-জ্বর হয়?

একটা প্রচলিত ধারণা হচ্ছে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে সর্দি-কাশি বা ঠান্ডা জ্বর হতে পারে এবং চুল ভেজা রাখা উচিত না। ভেজা চুল থেকেও ঠান্ডা লাগতে পারে। বহুকাল ধরে চলে আসা এই সব ধারণা কতখানি সত্যি চলুন জেনে নেয়া যাক আমাদের টনিক এক্সপার্টের কাছ থেকে।

এইসব ধারণা একেবারেই ভুল! জ্বি হ্যাঁ। যদিও এইসব মতবাদ অনেক পুরোনো এবং অনেকদিন ধরেই চলে আসছে, তবে এইসব ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ঠান্ডাজ্বর বা সর্দি-কাশির কারণ হচ্ছে এই রোগসৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া এবং বাতাসে ধুলাবালি ও তা থেকে হওয়া অ্যালার্জিজনিত সমস্যা।হাত না ধুয়ে খাবার খাওয়ার ফলে,

না ধুয়ে কোন খাবার খাওয়ার ফলে অথবা অ্যালার্জি আছে এমন কোন খাবারের ক্রিয়ায় সর্দি-কাশি হতে পারে। কারো সর্দি-কাশি আছে, সে যদি হাঁচি-কাশি দেয় তবে বাতাসে সে রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। তখন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তবে এই সর্দি-কাশি বা জ্বরের কারণ ঠান্ডা পানিয়ে গোসল বা গোসলের পর চুল ভেজা রাখা নয়। বরং ঠান্ডা পানিতে গোসলের বেশ কিছু উপকারিতা আছে।

  • শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়। ঠান্ডা পানি শরীরের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় যার ফলে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ে। যা মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপ না ছিদ্রগুলো সংকুচিত হয়। ফলে শরীর থেকে আর্দ্রতা সহজে হারিয়ে যায় না এবং দীর্ঘ সময় শরীর ও ত্বকে আর্দ্রতা থাকে।
  • ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা কমাতেও সাহায্য করে।
  • ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
  • ইনফ্লামেশন কমাতেও সাহায্য করে।

আর তাই, গোসলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। আর সুস্থ থাকুন।

ঠান্ডা পানিতে গোসল নিয়ে অনেকের মনেই ভুল ধারণা আছে। তাই,এই আর্টিকেল শেয়ার করে বাকিদেরও জানিয়ে দিন।

Sharing is caring!

Comments are closed.