আপনার সন্তানের স্কুল জীবন শুরুর আগে যা যা শেখানো দরকার…

আপনার ছোট সন্তানটি কিভাবে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আর ক্র’মশ দু’ষ্ট হচ্ছে, দেখে আপনি খুব অবাক হন? এখন সে এনার্জিতে ভরপুর আর বিশ্রামহীন ও চঞ্চল! তার অপ্রতিরোধ্য গতি ও কৌতূহল মেটাতে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন।

স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগের সময়টায় শিশুরা অপরিমেয় এনার্জির অধিকারী হয়ে থাকে। তাই এই সময়ে তাদেরকে ইতিবাচক শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজন। শিশুর ৫ বছর বয়সের মধ্যেই তার মস্তিষ্কের উন্নয়ন ৯০% সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে গবেষণায়। তাই এই সময়ে তার বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করুন এবং তার সাথে আপনার বন্ধনকে দৃঢ় করে নিন। বলা হয়ে থাকে যে শিক্ষা শুরু হয় ঘর থেকে।

তাই আপনার প্রিস্কুলার সন্তানের শিক্ষার প্রাথমিক ভিত্তিটা গড়ে দিতে হবে আপনাকেই। চলুন তাহলে এমন কিছু টিপসের কথা জেনে নেই যার মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানকে ইতিবাচক বিষয়গুলো ভালো ভাবে শেখাতে পারেন।

১। আপনার সন্তানের যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
আপনার সন্তানকে তার আশেপাশের মানুষদের সাথে কথা বলতে শিখান, যাতে সে তার প্রয়োজনের কথা বলতে পারে। সে যদি শব্দগতভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠে তাহলে সে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে এবং নিজের কোন প্রয়োজনের কথা যেমন- ট’য়লে’টে যাওয়ার কথা বা স’ন্দেহের কথা বলতে ভ’য় পাবেনা।

২। তাকে ভালো শ্রো’তা হতে শেখান
স্কুলে আপনার সন্তানকে শান্ত হয়ে শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে। বাসায় আপনার সন্তান একই জায়গায় বসে থাকে না ও আপনার সব কথাই শোনে না। তাই আপনার সন্তানের মধ্যে শোনার অভ্যাস গড়ে তোলাটা জরুরী। এজন্য তাকে গল্প শোনান।

৩। নির্দেশনা অনুসরণ করতে শেখান
আপনার সন্তানের বয়স যেহেতু ৪/৫ বছর চলছে তাই সে এখন আপনার বা শিক্ষকের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য তৈরি হয়েছে। তাই এই সময়ে তার সাথে এমন ধরণের খেলা খেলুন যাতে তাকে নির্দেশ করতে পারেন। এর ফলে সে নির্দেশনা অনুসরণ করা শিখবে।

৪। দলীয় ভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করুন
কিন্ডারগার্টেন স্কুলে বাচ্চাদের ছোট ছোট দলে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে হয়। তাই আপনার প্রতিবেশির বাচ্চাদের সাথে আপনার বাচ্চাকে মিশতে দিন। এর ফলে সে সামাজিক হয়ে উঠবে।

৫। তার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন
স্কুলে আপনার সন্তানকে রঙ পেন্সিল দিয়ে আঁকতে হবে ও লিখতে হবে। তাই বাসাতেই আপনি তার হাতের কাজ করার সূক্ষ্ম দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য লেখা ও আঁকার প্রশিক্ষণ দিন।

৬। তার স’ন্দে’হ দূর করুন
স্কুলে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলুন এবং তাকে উৎসাহিত করুন। স্কুল সম্পর্কে তার সব প্রশ্নের উত্তর দিন এবং তার মন থেকে ভ’য় দূর করে দিন।

৭। তাকে স্বনির্ভর হতে শেখান
যে শিশুরা নিজের দেখাশুনা নিজেই করতে পারে তারা আত্মনির্ভরশীল হয় বিশেষ করে প্রিস্কুলে। আপনার সন্তানকে নিজের নাক মুখ পরিষ্কার করতে শেখান, ট’য়’লেট ব্যবহার করতে শেখান।

Sharing is caring!

Comments are closed.