গরমে শিশুর হঠাৎ সর্দি–কাশি?

এই গরমে শিশুরা হঠাৎ ঠান্ডা বা সর্দি-কাশিতে আ’ক্রান্ত হতে পারে। তারা প্রায়ই বড়দের নজর এড়িয়ে ঘামে ভেজা জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়ায়,

গোসল করতে গিয়ে পানি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ খেলতে থাকে, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করে, বরফ আর আইসক্রিমের প্রতিও তাদের আগ্রহ বাড়ে।

এই সবকিছুর জন্যই ঠান্ডা লেগে যায়, যদিও এর মূল কারণ ভা’ইরাস। ফলে হালকা জ্বর হতে পারে, সঙ্গে সর্দি-কাশি ও শরীরে ব্য’থা।
শিশুদের সুস্থতার জন্য এই গ্রীষ্মে অভিভাবকদের স’তর্ক থাকতে হবে। ওরা ছোটাছুটি ও খেলাধুলা করবেই, তাই হালকা সুতির জামা পরাতে হবে। এতে শরীরে ঘাম কম হবে।

ঘেমে ভিজে গেলে জামাকাপড় পাল্টে শরীর মুছে দিতে হবে। চুলের গোড়াও ভালো করে মুছে দিতে হবে। বাইরে থেকে এসেই শিশুকে গোসল করানো যাবে না। কয়েক মিনিট ফ্যানের হাওয়ায় শরীর জুড়াতে দিতে হবে, বিশ্রাম নেওয়ার পর শরীর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে গোসল করাতে হবে।

আর শিশুকে খুব ঠান্ডা পানি, বরফ বা আইসক্রিম না দেওয়াই ভালো। আকস্মিক তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে ঠান্ডা লাগতে পারে। শিশুদের নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার ও গোসল করাতে হবে, যাতে জী’বাণু সহজে আ’ক্রমণ না করে।

নানা রকমের সংক্র’মণ এড়াতে শিশুকে প্রচুর পানি, শরবত, ডাবের পানি ও তরল খাবার দিতে হবে। ছোট শিশুদের ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। নাক বন্ধ থাকলে লবণ-পানির ড্রপ বা নরসল দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে।

জ্বর হলে প্যারাসিটামল লাগবে। হাঁচি দেওয়ার সময় হাত দিয়ে নাক ঢাকলে পরমুহূর্তে সাবান দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। এ সময়ের অসুস্থতা কয়েক দিনেই সেরে যায়। তবে অনেক জ্বর, শ্বাসক’ষ্ট বা খাবারে তীব্র অনীহা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ/ prothom alo

Sharing is caring!

Comments are closed.