বেশিরভাগ শিশুকেই কার্টুনের প্রতি আসক্ত হতে দেখা যায়। বিশেষ করে শহরের শিশুরা একটু বেশিই কার্টুনভক্ত। যেকোনো কিছুর প্রতি ঝুঁকে থাকা হচ্ছে বিপদজনক। আর তা যদি হয় কোনো শিশুর বেলায় তবে সেটি আরও মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। কার্টুনের প্রতি শিশুদের আসক্তির বিষয়টিকে শিশুদের বাবা-মা তেমন পাত্তা না দিলেও শিশুটির বুদ্ধি এবং মানসিক বিকাশে কার্টুনে আসক্তি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যা দীর্ঘমেয়াদে শিশুটির উপর প্রভাব বিস্তার করে। শিশুকে কার্টুনের আসক্তি থেকে মুক্ত করার কিছু উপায়-
১. শিশুকে যদি প্রচুর খেলার সুযোগ দেওয়া যায়, তার কল্পনাশক্তি ও সৃজনশীলতাকে উদ্দীপ্ত করে খেলার বিভিন্ন নির্দেশনা, নিয়ম পর্যায়ক্রম ইত্যাদি বুঝতে ও অনুসরণ করতে সাহায্য করে। তখন শিশু কার্টুন দেখা থেকে বিরত থাকতে পারে। ২. শিশুকে শারীরিক অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে যুক্ত করা, যাতে শিশু নিজের বডি ফিটনেস সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। যেমন- সাইকেল চালানো, স্কেটিং, বাস্কেটবল, ফুটবল, ঘুড়ি ওড়ানো ইত্যাদি। ৩. শিশুদের বিভিন্ন রকমের মাইন্ড গেমস খেলতে উৎসাহিত করা যেমন- অক্ষর নিয়ে খেলা, ছোট ছোট সহজ ধাঁধা, প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাওয়া যাতে তার চিন্তা কল্পনার ব্যবহার হয়। ৪. শিশুদের কঠোরভাবে নয় বরং বুঝায়ে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া যে, কত সময় টিভি দেখবে, কোন কোন নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম দেখবে ইত্যাদি। ৫. শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য হয় এমন কিছুতে ব্যস্ত রাখা, শিশুকে বুঝতে দেওয়া যে, টিভি হচ্ছে তার জন্য একটা বিনোদনের সুযোগ মাত্র, দৈনন্দিন রুটিন নয়। ৬. শিশুকে বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত রাখা; যেমন- আর্ট,অভিনয়, আবৃত্তি ইত্যাদি। ৭. শিশুর মধ্যে বইপড়ার মনোভাব তৈরি করা, প্রচুর গল্পের বই শিশুকে পড়ে শোনানো, লাইব্রেরির সঙ্গে যুক্ত করা ও বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলা। ৮. সংসারের ছোট ছোট কাজে তাকে উৎসাহ দেয়া, যেমন- একটি গ্লাস নিয়ে আসা, টেবিল থেকে একটি কলম নিয়ে আসতে বলা ইত্যাদি। এতে করে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মাবে।
প্রাচীনকাল থেকেই খাবারে ঘি ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আজকাল আমরা বাবা-মায়েরা এতটাই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছি যে ফ্যাটের ভয়ে বাচ্চাদের এই ঘি খাওয়ানো এক প্রকার..
Read Moreগরুর দুধের কৌটা বা প্যাকেটের নিচের কোনায় ছোট্ করে লেখা থাকে “এক বছরের নিচের শিশুর জন্য প্রযোজ্য নয়”। কিন্তু কখনো কি আমরা বুঝতে চেষ্টা করেছি..
Read Moreগরমে বড়দেরই জীবনই অতিষ্ঠ হয়ে উঠে তাই ছোটদের তো কথাই নেই। গরমে শিশুরা বড়দের তুলনায় অনেক বেশি ঘামে। এ সময় তাদের মৌসুমজনিত নানারকম সমস্যা দেখা..
Read More