বাচ্চার সবুজ পায়খানা হওয়া কি স্বাভাবিক নাকি চিন্তার বিষয়? কেন হয় এমনটা?

আপনি যদি একজন মা হয়ে থাকেন তাহলে শিশুকে অনেক সময় অদ্ভুত  দেখবেন এবং মাঝে মাঝেই বিভিন্ন বর্ণের পায়খানা করতে দেখে থাকবেন। যাই, হোক, একটি  কথা ঠিক যে শিশুর পায়খানা তার স্বাস্থ্যের পরিচও দেয়। একটি সুস্থ শিশুর পায়খানার রং সর্ষে হলুদ রঙের হওয়া উচিত।
যাই হোক, বাচ্চার পায়খানার রঙের পেছনে অনেক কারণ হতে পারে। সব থেকে অবাক করা অং যা দেখে মায়েরা ভয় পেয়ে থাকেন তা হল সবুজ। কেন হয় পায়খানার রং সবুজ?

১. অতিরিক্ত পরিমানে মায়ের পাতলা দুধ পান করা 

কে বলে ফোরমিল্ক যা স্তন্যপান করানোর শুরুতে বেরিয়ে থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমানে ল্যাকটোজ থাকে। এটি বেশি পান করলে শিশুর গ্যাস হয় ও তা সবুজ পায়খানা হয়ে বের হয়. চেষ্টা করবেন শিশু যেন বেশি এই দুধ পান না করে, স্তন্যপান করানোর আগে কিছুটা দুধ ঝরিয়ে নেবেন।

২. নতুন দাঁত বেরোনোর সময় 

এটি বেশ সাধারণ সমস্যা যেখানে অতিরিক্ত লালার কারণে অন্তরে সমস্যা দেখা দেয় ও শিশু সবুজ পায়খানা করে থাকে।

৩. পাউডার দুধের ব্র্যান্ড পরিবর্তন 

ব্র্যান্ড পরিবর্তন হলে শিশুর সবুজ পায়খানা হতে পারে। এর মানে হল শিশু ওই ব্রানডার প্রতি এলার্জিক, আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন, উনি ঠিক করে দেবেন আপনি তা পরিবর্তন করবেন কি না.

৪. শক্ত খাদ্য শুরু করলে 

প্রথম প্রথম শক্ত খাদ্য দেয়াও শুরু করলে শিশুর সবুজ পায়খানা তে পারে কারণ তার হজম সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

৫. অসুস্থতা 

আগেই বলেছি শিশুর পায়খানা তার স্বাস্থ্যের গাইড। ঠান্ডা লাগা, পেটে ফ্লু হওয়া, সংক্রমণ ইত্যাদি নানা কারণে পায়খানা সবুজ হতে পারে। যদি আপনার শিশুর জ্বর থাকে ও পায়খানা দুর্গন্ধযুক্ত ও সবুজ হয়ে থাকে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান.

৬. ডায়রিয়া 

এই সমস্যা শিশুদের প্রায়ই লেগে থাকে। এই সময় ভাইরাসের কারণে পায়খানা সবুজ হতে পারে।

৭. এন্টিবায়োটিক্স 

স্তন্যপানকারী মা বা বাচ্চা যদি কোনোরকম এন্টিবায়োটিক নিয়ে থাকে তাহলে বাচ্চার সবুজ পায়খানা হয়ে থাকে। এটি এন্টিবায়োটিকের পার্শপ্রতিক্রিয়া। তাই, ডাক্তারের পরামর্শ নিন, উনি বলে দেবে সেই এন্টিবায়টিক নেওয়া বন্ধ করতে হবে কি না

৮. সবুজ সবজি খেলে 

প্রচুর পরিমানে সবুজ সবজি খাওয়ালে বাচ্চার সবুজ পায়খানা হতে পারে। এটি তেমন ভয়ের কিছু না, বরং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার শিশু ঠিক মত খাচ্ছে কি না. উপরের সমস্ত কারণগুলি তেমন ভয়ের কিছু না, শুধু ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ রাখুন ও দেখুন শিশুর জন কমে যাচ্ছে কি না বা শিশুর কোনো গুরুতর অসুখ হচ্ছে কি না. যদি সেটি দুদিনের বেশি থাকে, শিশু কান্না কাটি করে, বুঝবেন ওর পেটে ব্যথা হচ্ছে। দেরি না করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

Source:tinystep

Sharing is caring!

Comments are closed.