নতুন মায়েরা, তাদের স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এই দশটি সুপার ফুডস ট্রাই করতে পারেন

নতুন মায়েরা, তাদের স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে এই দশটি সুপার ফুডস ট্রাই করতে পারেন। যেসব মায়েরা স্তনপান করান তাদের জন্য স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটিই শিশুকে সবরকম পুষ্টির যোগান দেয়। এখানে, স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে দশটি প্রাকৃতিক সুপার ফুডস দেওয়া হল। সদ্যজাতর জন্য এখনো পর্যন্ত সবথেকে পুষ্টিকর হল স্তন-দুগ্ধ। শিশুর জন্মের পরই স্তন-দুগ্ধ পান করানোর কথা, ডাক্তারেরা এবং অন্যান্য প্রচারও জোড় দিয়ে বলে থাকেন; যদিও সব নতুন মায়েরাই প্রয়োজন মতো দুগ্ধ উৎপাদনে সক্ষম হয়ে থাকেন না। ফলে, শিশুদের আবশ্যকীয় পুষ্টির যোগানের জন্য, ফর্মুলা মিল্ক বা কৃত্তিম দুধ বিকল্প হয়ে দাঁড়ায়। আপনার শিশুর জীবনের প্রথম কটি মাসে তাকে স্তন-দুগ্ধ পান করানো আবশ্যিক, যেহেতু এর মধ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা একজন শিশুর ক্রমবিকাশে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও স্তন-দুগ্ধে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শিশুর অনাক্রমতা বৃদ্ধি করাতে পারে। এবং এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলিকে মায়েরা তাদের স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করানোন জন্য, নিজেদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। অতএব, মায়েদের স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, এই দশটি সুপার ফুড অসাধারণভাবে সহায়ক।

রসুনঃ রসুনের চিকিৎসাগত ও ভেষজ উপকার রয়েছে যা মায়েদের স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেসব মায়েরা যেকোন প্রকারেই হোক, রসুন বেশি করে খেয়ে থাকেন, তারা শিশুদের বেশি পরিমাণে স্তন-দুগ্ধ পান করাতে সক্ষম হয়ে থাকেন। রসুন আলাদা ভাবে বা রান্নার করা খাবারের সাথেও খাওয়া যেতে পারে।

মৌরিঃ স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে রসুন খুবই কার্যকর। এছাড়াও এই বীজ পাচন সম্বন্ধীয় সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে নিরাময়ে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে মৌরি নিয়ে সারারাত ধরে তা ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে সেটা পান করে নিন। আপনি এটিকে সব্জির সাথে বা খাওয়ার পর শুধু চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন।

তিলঃ তিল খুব ভাল তামা ও ক্যালসিয়ামের উৎস। এটি মা ও শিশু উভয়কেই শক্তিশালী মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্টসের যোগান দেয়। তিল রান্না করা সব্জির সাথে বা ডালের সাথে অথবা তিলের লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া যায়।

জোয়ানঃ জোয়ান পাচনতন্ত্রের ক্রিয়ায় সাহায্য ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক বলেই পরিচিত, তবে এটি নতুন মায়েদের স্তন-দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতেও সক্ষম। জোয়ান আর মৌরি একসাথে নিয়ে, এক গ্লাস জলে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জলটি পান করুন। আপনি আপনার খাবারেও জোয়ান মিশিয়ে নিতে পারেন।

মেথিঃ মেথিতে উপস্থিত গ্যালাক্টোগোগস, নুতুন মায়েদের স্তন-দুগ্ধ উৎপাদনে সাহায্য করে। আপনি এই বীজ রান্না-খাবারের সাথেও খেতে পারেন বা সারা রাত ধরে এক গ্লাস কলে মেথি ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে সেই জল পান করতে পারেন। জলের মধ্যে মেথি ফুটিয়ে সেই চা ও খুবই উপকারী। স্তন-দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, মেথির লাড্ডুও খুবই সাহায্যকারী।

জিরাঃ জিরা, আয়রন সমৃদ্ধ। এটি মায়েদের স্তন-দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে ও প্রসবোত্তর শক্তির যোগান দিতেও সাহায্য করে। জিরাকে, ডাল, তরকারি ও অন্যান্য সব্জির সাথে খান। আপনি, সারা রাত জলে জিরা ভিজিয়ে রেখেও পরিদিন সেই জলটা পান করতে পারেন।

কিসমিসঃ এক মুঠো ড্রাই ফ্রুটস খান অথবা ড্রাই ফ্রুটস অন্য কোন খাবার বা মিষ্টির সাথে মিশিয়ে খান। যেসব মায়েরা স্তনপান করান তাদের জন্য এটি ফলদায়ী।

করলাঃ সব ধরণের লাউ জাতীয় প্রজাতি স্তন-দুগ্ধ উৎপাদনে ফলদায়ী। আপনি যেভাবে পছন্দ করেন সেইভাবে এগুলিকে রান্না করে খান অথবা আপনি এর জুস বানিয়েও তা পান কুরতে পারেন।

ওট্‌সঃ ওট্‌স ফাইবারে, ক্যালসিয়াম ও আয়রণে পূর্ণ। স্তন-দুগ্ধ উৎপাদনের উন্নতিতে ওট্‌স অনুঘটকের ন্যায় কাজ করে। প্রাতরাশে এক বাটি ওট্‌স খান। ওট্‌স দুধের সাথে খান বা এটি দিয়ে পোহা, উপমা বানিয়ে খান।

লাল সব্জিঃ স্তনপান করান মায়েদের খাদ্যতালিকাতে অবশ্যই গাজর, বীট, মিষ্টি আলু রাখতে হবে। স্তন-দুগ্ধ উৎপাদন ছাড়াও এগুলি নতুন মায়েদের লিভারকে ভাল রাখতে ও রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। স্যালাড বা তরকারির সাথে এই সব্জিগুলি খান। প্রচলিত কিছু বিশ্বাস, যে আমিষ খাবারের খারাপ প্রভাব রয়েছে; এর ওপর ভিত্তি করে এই সময় আমিষ খাবারকে উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। এবং কখোনই বেশি পরিমাণে জল পান করতে ভুলবেন না। যেহেতু, স্তন-দুগ্ধে অনেক বেশি শতাংশই জল থাকে, তাই জল পান করাকে উপেক্ষা করলে, স্তন-দুগ্ধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে না আর ফলস্বরূপ আপনার শিশুকেই ভুগতে হবে।

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.