ডিম্বস্ফোটন সম্পর্কে কিছু আশ্চর্য্য তথ্য

দম্পতিরা যারা বাবা মা হতে চান, তারা ডিম্বস্ফোটনের দিনগুলির উপর নজর রাখবেন| বস্তুত, দম্পতিরা যারা বাবা মা নাও হতে চান তাদেরও ডিম্বস্ফোটন দিন সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে| সব সময় পরিকল্পনা করে গর্ভাধারণ করা উচিত। কারণ যত এই বিষয়ে যত সাবধানতা অবলম্বন করবেন, তত গর্ভপাতের আশঙ্কা কমবে। সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধে ডিম্বস্ফোটন সংক্রান্ত কিছু আশ্চর্য্য তথ্য পরিবেশন করা হল।

তথ্য #১ 

একজন মহিলার শরীরে প্রবেশের পরে একটি শুক্রাণু কোষ ৩-৫ দিন বেচে থাকতে পারে| কিন্তু একটি মুক্ত ডিম মাত্র ৬-১২ ঘন্টার জন্য অপেক্ষা করতে পারে| যদি তার আগেই উর্বরতা প্রাপ্তি হয়, তাহলে গর্ভাবস্থা ঘটতে পারে| না হলে কিছুই হয় না।

তথ্য # ২

আপনার চক্র ৩০-৩১ দিনের জন্য যদি স্থায়ী হয়, তাহলে আপনার ডিম্বস্ফোটনের দিন সম্ভবত ১১-১৪তম দিন হতে পারে| এই হিসেব মনে রেখে, আপনি আপনার অন্তরঙ্গতা পরিকল্পনা করতে পারেন|

তথ্য # ৩

ডিম্বস্ফোটনের আরেকটি ইঙ্গিত হল সার্ভিকাল রস। প্রসঙ্গত, শ্লেষ্মা জরায়ুর দ্বারা মুক্ত হয়| এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হল ডিমের কাছে পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত যাতে স্পার্ম সেল ঠিক মতো বিচরণ করতে পারে তা সুনিশ্চিত করা।

তথ্য # ৪

কিছু মহিলা প্রবৃত্তিগতভাবে তাদের ডিম্বস্ফোটন তারিখ জানতে পারেন। কারণ তারা মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময়, হালকা ব্যথা অনুভব করতে থাকেন|

তথ্য # ৫

ডিম্বস্ফোটনের সময় নারীরা অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেন| এটি তাদের জ্ঞান ছাড়াই ঘটে, তাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশের রদবদলের কারণে| এছাড়াও গলার স্বরও পরিবর্তিত হতে পারে| স্বরের ধ্বনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে যেতে পারে|

তথ্য # ৬

এমনকি ঘ্রাণশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে ডিম্বস্ফোটনের সময়| তাই এই সময় নারীরা সুগন্ধিত পুরুষের দিকে আকর্ষণ অনুভব করতে পারেন|

Source:boldsky

Sharing is caring!

Comments are closed.