শিশু যখন মায়ের বুকের দুধ গ্রহণ করে, তখন তার সঙ্গে কিছু না কিছু বাতাস গেলে যার ফলে পেটে গ্যাস তৈরী হয়। এর প্রতিকারে বিস্তারিত!

বাচ্চার পেটে গ্যাস হওয়ার প্রথম কারণটা হচ্ছে- খাওয়ার ভুল পদ্ধতি,বদহজম হয়ে পেটে গ্যাস তৈরি হওয়া যার দরুন ছোট্ট শিশুদের পেট ব্যথা করে।নবজাতক শিশুর বেলায় গ্যাস সৃষ্টি হয় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার সময়।কারণ বাচ্চা যখন দুধ পান করেন তখন হয়ত দুধের নিপিলটা মুখে পুরোটা না একটু ফাঁকা থাকে আর এতেই বাতাস ঢুকে পেটে গ্যাস হয়।আবার মায়েদের দুধ ভেঙ্গে যাওয়া অর্থাৎ মায়ের দুধের ভেতর লেকটোস জাতীয় একটি পদার্থ থাকে সেটা ভেঙ্গেও গ্যাস তৈরি হয়।এতে পায়খানাটাও নরম হয়।আবার ফিডারে দুধ পান করার সময় কিছু বাতাস শিশুর পেটে প্রবেশ করে এতেও গ্যাস হয়।ঢোক গেলার সময়ে পেটে বাতাস প্রবেশ করে এই রকম বিভিন্ন প্রকারের নবজাতক শিশুর পেটে গ্যাস হতে পারে।৫-৬ মাস বয়সের শিশুদের বেলায় বুকের দুধের পাশাপাশি একটু বাড়তি খাবার দেয়া হয়।

এতে খাবারের পরিবর্তনের কারণেও অনেক সময় পেটে গ্যাস হতে পারে।নবজাতক শিশুর পেটের গ্যাস বা বাতাস কমানোর জন্য খাওয়ার পর পরই বাতাস বের করে দিতে হবে।দুধ বুকের হোক বা ফিডারের হোক নিপলের দিকে খেলাল রাখতে হবে যেন শিশুর মুখের চারপাশে ফাঁকা না তাকে অর্থাৎ বাতাস না ঢুকতে পারে আর খাওয়ানোর পর মায়ের ঘাড়ের বাঁ পাশে ডান পাশে নিয়ে শিশুর পিঠের ওপর হাত নিচের দিকে হাত দিয়ে নামিয়ে দিতে হবে যাতে বাতাস বের হয়ে যায়। অনেক সময় আমরা দেখি ড্রপের সাহায্যে বাতাস বের করা যেতে পারে।খাওয়ার ভুল পদ্ধতির কারণে জোর করে খেলে বা বেশি খেলে বদহজম এর কারণে পেটে গ্যাস জমে আর এতে করে অনেক সময় বাচ্চাকে বমি ও করতে দেখা যায় এবং পেটের ব্যথায় বাচ্চাকে কান্না করতে ও নবজাতক শিশুকে ঢেকুর তুলতে দেখা যায়।

আর তাছাড়া নবজাতক শিশুর জন্য কিছু হাল্কা ব্যায়াম আছে যেমন এক হাত/ এক পা ধরে পা’টা মাথার সঙ্গে আর হাতটা পায়ের কাছে আনতে হবে এভাবে দুই থেকে চারবার করলেই হবে এতে পেটে চাপ পড়ে কিছুটা গ্যাস কমে যাবে। বাচ্চার পেটে গ্যাস জমে গেলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ঘন ঘন বমি না করে বমির পরিমাণ বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকুন যেন বাতাস শিশুর পেটে না ঢোকে।

এম. এ. কে আজাদ অধ্যাপক এম. এ. কে আজাদ চৌধুরী বিভাগীয় প্রধান নবজাতক বিভাগ ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত।

কৃতজ্ঞতাঃ বেশতো

Sharing is caring!

Comments are closed.