যেভাবে শিশুর বুকে জমা কফ গলে যাবে!

শীতকালে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় শিশুরা। বুকে জমে থাকা কফ ও কাশির কারণে ঘুমাতে পারে না। সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে যায়, নিঃশ্বাস নিতে ছটফট করতে থাকে, পরে কান্না জুরে দেয়। এসময় শিশুর সঙ্গে মা-বাবাকেও নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে অনেক মা- বাবা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে হাই-এন্টিবায়োটিক ও ঠাণ্ডার ওষুধ খাওয়ান শিশুকে। তবে এসব হালকা বিষয়ে শিশুকে কড়া পাওয়ারের ওষুধ না খাওয়ানোই ভালো।

তবে আপনি চাইলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর বুকে জমানো কফ দূর করতে পারেন। আসুন সেই কার্যকরী উপায়গুলো জেনে নিই :

* অনেক অভিভাবক শিশুর সর্দি কাশি হলে গোসল করাতে চান না। এটা ঠিক নয়, প্রতিদিন কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করাতে হবে।এতে সর্দি বুকে বসতে পারে না।

* রোগ জীবাণুর কারণে আপনার শিশুটি ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এতে সে দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এসময়টা শিশুর পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি যোগায়।

* একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি দিয়ে শিশুটিকে ভাপ দিন। এভাবে শিশুটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানিরভাব শিশুর নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করে দেয়।

* সর্দি-কাশিতে দ্রুত আরাম পেতে শিশুকে নাকের ড্রপ দেয়া যেতে পারে। আপনি চাইলে এই ড্রপ ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। একটি পাত্রে ৪ চা চামুচ গরম পানির সঙ্গে ১/২ চা চামচ লবণ দিয়ে ভাল করে জ্বাল দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এটি নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।

* ২টি রসুনের কোয়া ও ১ টেবিল চামচ মৌরি ভাল করে ভেজে বেটে নিন। এবার এই মিশ্রণটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে পুটলি তৈরি করে শিশুর ঘুমানোর স্থানে রেখে দিন। এটি গরম হয়ে এর থেকে বের হওয়া বাষ্প শিশুর বন্ধ নাক খুলে দেবে। এবং কফ চলে যাবে। রসুন এবং মৌরিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে, যা শিশুর ঠাণ্ডা দূর করতে সাহায্য করে।

* ঠাণ্ডায় শিশুকে টমেটো এবং রসুনের স্যুপ খাওয়াতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে কফ গলিয়ে শিশুকে আরাম দেবে।

* সর্দি, জ্বরে শিশুকে ঘুমানোর সময় মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখুন। এতে করে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অনেকটা সহজ হবে।

* গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এটিও আপনার শিশুটিকে আরাম দেবে।

cl-jugantor

Sharing is caring!

Comments are closed.